সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
১ যুগেও পদোন্নতি হয়নি আড়াই হাজার প্রভাষকের, ১২ নভেম্বরের মধ্যে আদেশ জারির আলটিমেটাম ময়মনসিংহে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিতে কৃষিবিদ্যুৎ অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রচারাভিযা ১২ বছরেও পদোন্নতি হয়নি আড়াই হাজার প্রভাষকের, ১২ নভেম্বরের মধ্যে আদেশ জারির আলটিমেটাম জরাজীর্ণ টিন সেট ঘরে অপ্রতুল সরঞ্জামের মধ্যে চলছে পাঠদান ‘আয়নাঘর’ থেকে বেঁচে ফেরা মাজেদ পেলেন বিএনপির মনোনয়ন, উচ্ছ্বসিত কর্মীরা ২০০৬ সালে লগি-বৈঠার তাণ্ডবে রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর কুড়িগ্রামসহ সকল উপজেলায় যথাযথ সম্মানজনকভাবে পালন করা হয় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কুড়িগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইড লাইন অনুষ্ঠিত হয়েছে বদলি ঠেকিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া জেলা পরিষদ কর্মচারী সাইফুল জিয়া মঞ্চ ময়মনসিংহ মহানগর শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রোগিদের হেনস্থাকারী চাঁদাবাজ দালাল চক্রের ৫ জন গ্রেফতার

ঈশ্বরগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ৩

এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট : বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৯২৫ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটতে বাধা দেওয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। একই ঘটনায় এর আগে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল। এ পর্যন্ত ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, আ. আলী (৬০) ও তাইজুল ইসলাম (৫৫), ইসলাম মিয়া(২২)। এ ঘটনায় এর আগে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছিল।
এর আগে রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হামলার শিকার হন রুবেলসহ তিন ভাই। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেল মারা যান।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের বড় ভাই আজিজুল হক বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ও র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারপাড়া গ্রামের নেওয়াজ আলীর দুই ছেলে আবদুল খালেক ও আবদুল আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। কোনো সন্তান না থাকায় আবদুল আলী স্ত্রীর নামে সব সম্পত্তি লিখে দেন। পৈতৃক সম্পত্তি দুই ভাইয়ের মধ্যে সঠিকভাবে বণ্টন না হওয়ার আগে আবদুল আলীর স্ত্রীকে জমি লিখে দেওয়াকে কেন্দ্র করে পরিবারে অসন্তোষ তৈরি হয়। সম্পত্তি মাপ ঝোঁক করে বুঝে নেওয়ার জন্য আবদুল খালেকের ছেলেরা বললেও তা করছিলেন না আবদুল আলী। উল্টো আবদুল আলী নিজের শ্বশুর বাড়ির লোকজন নিয়ে জমি দখলে রাখেন।

গত রবিবার সকালে জমিতে পাকা ধান কাটতে যায় আবদুল আলীর স্ত্রীর ভাই ইসলাম উদ্দিন ও তাঁর লোকজন। এ সময় জমি থেকে ধান কাটতে নিষেধ করেন আবদুল খালেকের ছেলে রুবেল মিয়া। এরপর দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে রুবেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। রক্ষা করতে এগিয়ে এসে আহত হন তাঁর ভাই আবু হানিফা, আবদুস সোবহান ও রাকিবুল ইসলাম। পরে তাঁদের উদ্ধার করে মমেকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক রুবেল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে রুবেলের বড় ভাই আজিজুল হক বলেন, ‘চাচার সঙ্গে জমি নিয়ে সমস্যা ছিল। সেই সমস্যা চাচার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা এসে আরও বড় করে তোলে। জমি মাপ-ঝোঁক শেষ না করেই আমাদের ভোগ করা জমির ধান কাটা শুরু করে চাচা ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এতে নিষেধ করায় আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন