শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ত্রিশালে নারী শান্তি নিরাপত্তা বিষয়ক স্টিয়ারিং কমিটির সভা ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন: সভাপতি আব্দুল আউয়াল, সম্পাদক আতাউর রহমান বিরাজনীতিকরণ নাকি রাজনৈতিক সংস্কার-প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি ময়মনসিংহে প্রথমবাবের মতো ভিনদেশী লিলিয়াম ফুলের চাষ ঈশ্বরগঞ্জে ইউএনওর বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের মানববন্ধন বাকৃবির নতুন সিন্ডিকেট কমিটি সদস্য বিনার মহাপরিচালক বইলর-ধানীখোলা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা’য়াতের উদ্যোগে ইসলামী মহাসম্মেলন নারীর প্রতি সবধরনের নির্যাতন বন্ধ করে শান্তি ও  নিরাপত্তার জন্য সকলে মিলে সর্বত্র কাজ করতে হবে আত্মোন্নতির জন্য পরিশ্রম ও উদ্যমের কোনো বিকল্প নেই গোটা কুরআন আমাদের কর্মসূচি এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে বহিরাগতসহ রাজাকারের ভাতিজা: সমালোচনার ঝড়, ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা

অবারিত বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩
  • ৪৫০ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে অন্য জেলার একজনকে। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতিতে নিষ্কিয় এমন একাধিক ব্যক্তিকে উপজেলার কমিটিতে এবং রাজাকারের ভাতিজাসহ একাধিক মামলার আসামিকে দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সম্পাদক পদ। গত ৩১ জুলাই ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই কমিটি প্রকাশের পরই স্থানীয়ভাবে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হক মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক তানজীর আহমেদ রাজীবের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির ৪৩ নাম্বার সদস্য করা হয় নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার শরীফ হাসান রাকিব নামে একজনকে।
এ ছাড়াও উপজেলার সরিষা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে একাধিক মামলার আসামি কামরুজ্জামান মানিককে সভাপতি ও রাজাকারের ভাতিজা বিল্লাল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এদিকে বহিরাগত ব্যক্তিকে কমিটিতে স্থান দেওয়ায় কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে অনেকেই।

স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের অভিযোগ, একেতে কমিটিতে বহিরাগত এবং রাজনীতিতে নিষ্কিয় ব্যক্তিকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিতে
রাজাকারের ভাতিজা, একাধিক মামলার আসামি, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও জামাত-বিএনপি পন্থীদেরও পদ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আফজাল হোসেন হিমেল নামের এক সাবেক যুবলীগ নেতা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন-উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের প্রস্তুতি ৪৩ নাম্বার সদস্যের বাড়ি কেন্দুয়া থানার গন্ডা ইউনিয়নে। উনি কেন্দুয়া উপজেলায় রাজনীতি করেন।উনার নাম ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় আসলো কিভাবে? তার স্ট্যাটাসের উত্তরে কমেন্ট বক্সে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির ২ নম্বর সদস্য সামী ওসমান গণি লিখেছেন- ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সব মারা গেছে তাই বহিরাগত স্থান পেয়েছে।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার জাহান সম্রাট তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন- ঈশ্বরগঞ্জে কি নেতার অভাব পড়েছিল? যে কমিটিতে আমাদের উপজেলার নেতারা পদ পাননি,সেই কমিটিতে অন্য জেলার নেতারা কিভাবে আসে? এ দায় জেলার নেতারা এড়াতে পারেন না।

এদিকে সভাপতি পদের জন্য টাকা দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ায় কমিটি প্রকাশের পরই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে পদত্যাগ করেছেন, জাটিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলি উল্লাহ ফকির নামে এক নেতা। সে ফেসবুকে লিখে ‘ টাকার পরিমাণটা একটু কম হয়েছিল বিদায়’।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির ২ নম্বর সদস্য সামী ওসমান গনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে চাই সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটিতে রাজাকার পরিবারের সদস্যসহ বহিরাগতদের যেন বহিষ্কার করা হয়’।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব কাজী জিয়াউল হক শুভ্র বলেন, ‘শরিফ হাসান রাকিবের গ্রামের বাড়ি কেন্দুয়া হলেও উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের আঠার বাড়ি বাজারে তাদের নিজস্ব বাসা রয়েছে এবং সে ঈশ্বরগঞ্জের ভোটার।
তাছাড়া যেই দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এর কোন প্রমাণ আমরা পাইনি’।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হক মন্ডল দেশ রূপান্তরকে বলেন- ‘ একজনের বাড়ি দুই জায়গায় থাকতেই পারে। দেখতে হবে সে ভোটার কোন এলাকার। আমার জানামতে শরীফ হাসান রাকিব ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের ভোটার। তাছাড়া বিল্লালের বিরুদ্ধে যে রাজাকারের ভাতিজা অভিযোগ উঠেছে, এটা আসলে অপ্রাসঙ্গিক। কেননা, তার চাচা রাজাকার ছিল, তার বাবা তো নয়। আর মানিকের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন