কুড়িগ্রাম’র উলিপুর পৌরসভা শাখা আওয়ামী লীগের কমিটির তালিকায় ২৬ নং ক্রমিকধারী শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিভাগের সম্পাদক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, কুড়িগ্রাম-৩ উলিপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলীগ নেতা অধ্যাপক এমএ মতিনের আপন ভাগিনা, দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী বাকরেরহাট ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা ধ্বংসের মূল হতো, উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাতক আবু সাঈদের একান্ত আস্থাভাজন আলিম আল রেজা’কে গ্রেফতার করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন, উলিপুর থানার (ওসি) অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু সাঈদ। জানা গেছে আলিম আল রেজার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি ও জমি বিক্রি করে তা অবৈধভাবে দখলে রাখাসহ আরও ৩ টি মামলা রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়- সাধারণ পরিদর্শনের অংশ হিসেবে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বাকরেরহাট ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের শিক্ষা পরিদর্শক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনকিউল হাসানাত ও মোঃ হাবিবুর রহমানের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন ২০২৩ এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ আলিম আল রেজা ০৭-০৮-২০০১ তারিখে বিএস-সি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান বিভাগের কোন অনুমতি না থাকার ফলে তাকে শুন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ প্রদান করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কৃষি বিষয়েও কোন অনুমতি নাই। গভর্নিং বডি’র রেজুলেশন ব্যাতিরেখে কৃষি শিক্ষক পদে এমপিওভুক্ত হন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে আলিম আল রেজার নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি যাচাইয়ে দেখা যায় নিয়োগের টেবুলেশন শীটে ০২জন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র মোতাবেক নিয়োগ পরীক্ষায় নুন্যতম ০৩জন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে। তাই নিয়োগ বিধি সম্মত হয়নি। তিনি সরকারি বেতন ভাতাদি প্রাপ্য নহেন। তৎকর্তৃক ০১-০৩-২০০২ হতে ৩১-০৭-২০২৩ পর্যন্ত গৃহিত ২৮ লাখ, ৬২ হাজার ৩০৫ টাকা ফেরতযোগ্য এবং মাদ্রাসায় নানাবিধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হন না, শিক্ষার্থীদের ক্লাশও নেন না, ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং ও বিশৃঙ্খলার সাথে জড়িত থেকে ক্লাশ বর্জন করেন বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শকগণ।