দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুছ ছাত্তার।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র মেকাবেলায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গত রবিবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার অন্তর্গত ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মীসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফির উদ্দিন আহম্মেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী রফিকুল ইসলাম বুলবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শহীদুল ইসলাম মুক্তি, দপ্তর সম্পাদক আবুল কালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফা, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারেকসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ময়মনসিংহ-৮ ঈশ্বরগঞ্জ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবেও নিজ এলাকায় গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। নেতাকর্মীদের সাথে করছেন মত বিনিময়, উঠান বৈঠক, পথসভা। জনগনের সামনে তুলে ধরছেন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র। সেই সাথে নিজে দুইবার সংসদ সদস্য হওয়ার পর অবদানের কথাও তুলে ধরছেন। ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে এসব কর্মসূচী।
দীর্ঘদিন ধরে এ আসনে জাতীয় পার্টির এমপি থাকায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ কম থাকায় এবং আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি না থাকায় নেতাকর্মীদের দলীয় মনোবল নষ্ট হয়ে দলের কাজকর্ম পিছিয়ে পড়ে। দলের এমন অবস্থা দেখে নেতাকর্মীদের হাল ধরতে দায়িত্ব নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির। সেই দায়িত্ব নেওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাফির উদ্দিন আহম্মেদসহ দলীয় সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে নামেন তিনি। শুরু করেন বিভিন্ন কর্মসূচী। এরই মাঝে বিগত শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষে করেন মাসব্যাপী কর্মসূচী। সেই কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ১১টি ইউনিয়নে ১১ টি শোকসভা ও গণভোজের আয়োজন। সেই সাথে একটি পৌরসভাতেও শোকসভা ও গণভোজের আয়োজন করা হয়। সেই কর্মসূচী গুলোতে নেতাকর্মীদের ব্যাপক সারা মিলতে দেখা যায়।