সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০১:১১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইফতার ও খাদ্যসামগ্রী উপহার পেল শতাধিক দুস্থ ঈশ্বরগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে সেনা সদস্যের মৃত্যু ঈশ্বরগঞ্জে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে বিশেষ ক্যাম্পেইন ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ঈশ্বরগঞ্জে দুই সার ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা কবি আবদুল হাই মাশরেকীর জন্মবার্ষিকীতে দিনব্যাপী মাশরেকী বন্দনা ঈশ্বরগঞ্জে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মা’কে খুন ঈশ্বরগঞ্জে শিশু কিশোর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত এমপিওভূক্তকরণে আনন্দ র‌্যালি ও স্থানীয় এমপিকে সংবর্ধনা ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাব কমিটি: সভাপতি কালাম, সম্পাদক মোস্তাফিজ ঈশ্বরগঞ্জে বিনম্র শ্রদ্ধায় মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

মহিলা সদস্যকে চুলে ধরে জুতাপেটা করলেন ইউপি চেয়ারম্যান, দিয়েছেন প্রাণ নাশের হুমকিও

এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট : শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

মহিলা সদস্যকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান। গত বৃহস্পতিবার(২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে চলছিলো এক বিশেষ সভা। সভা চলাকালীন সময়ে রাগান্বিত হয়ে সংরক্ষিত আসনের এক মহিলা সদস্যকে চুলের মুঠি ধরে জুতাপেটা ও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়ন পরিষদে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারী সদস্য।

জানা যায় , গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরিষদে বিশেষ এক সভা ডাকেন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান সেলিম। সভায় পরিষদের ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য রোকসানা খাতুন(৪০) অপর সদস্যেদের বিভিন্ন ভাষায় গালাগাল করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে সকল ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান সেলিম নারী সদস্য রোকসানাকে ভৎর্সনা করেন এবং ক্ষমা চাইতে বলেন। এ সময় রোকসানা একতরফা তাকে দোষারোপ না করা এবং গালমন্দ করে থাকলে তার প্রমাণ দিতে বলেন চেয়ারম্যানকে। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সকলের সামনেই তার চুলের মুঠি ধরে পায়ের জুতা খুলে পেটায়।

এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার মহিলা ইউপি সদস্য রোকসানা বলেন, চেয়ারম্যান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার সাথে শত্রুতা সৃষ্টি করে বছর খানেক ধরে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন,
এখনও দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার পরিষদে ডেকে নিয়ে আমার চুলের মুঠি ধরে জুতা দিয়ে পেটায়। এ ঘটনার পর তার সাঙ্গপাঙ্গরাও আমার দিকে তেড়ে আসে।পরে আমি অনেকের সহযোগিতায় প্রাণে রক্ষা পাই। এখানেই ক্লান্ত হননি তিনি, চেয়ারম্যানের নির্দেশে ১০- ১৫ জন লোক আমার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে। আমি এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কোন প্রকল্পের কাজ পাইনি। তাই চেয়ারম্যান বললেও পরিষদের কোন কাজে বা প্রকল্পের নথিতে সই করিনি। এতে দীর্ঘ দিন ধরে চেয়ারম্যান আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। ঘটনারদিন আমাকে পরিষদে মিটিং এর কথা বলে খবর দিলে আমি পরিষদে উপস্থিত হই। পরে আমাকে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলে এবং তাকে বিশ হাজার টাকা দিতে বলে। আমি স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে প্রতিবাদ করি। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চুলের মুঠি ধরে লাথি কিল ঘুষি, জুতাপেটা ও শ্লীলতাহানি করে।

এ ঘটনা সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান সেলিমের কাছে জানতে চাইলে মারধরের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি পীরজাদা মোস্তাছিনুর রহমান জানান, ঘটনাটি নিয়ে মহিলা সদস্য রোকসানা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন বলেন ঘটনাটি শুনেছি এবং থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

Please Share This Post in Your Social Media

সম্পর্কিত