শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ময়মনসিংহে স্বামীকে হত্যায় পরকিয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের ’শিক্ষক সম্মেলন-২০২৪’ অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর জামায়াতের কর্মী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক থানা শাখার আমীরগণের শপথ অনুষ্ঠান ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকান্ড, হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ইন্ট্রাকো এলপিজি’র কটিয়াদির জালালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের দাওয়াতী জনসভা অনুষ্ঠিত আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাচ্ছেন যেটা কখনোই সম্ভব নয়- প্রিন্স ‘হোন্ডা মোবাইল টিমে’ তৎপর পুলিশ

রাজস্ব খাতের টাকা লুটপাটের অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৪৫৩ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিমের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন ও রাজস্ব খাতের টাকা লুটপাটের অভিযোগ করেছেন সাত ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পৃথক ২টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা।

অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা হলেন- মো.দুলাল মিয়া, মো. আবুল বাশার, আকরাম হোসেন, মো. শহিদ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও সংরক্ষিত নারী সদস্য তাসলিমা আক্তার।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯নং উচাখিলা ইউনিয়নের সদস্যগণ নির্বাচিত হওয়ার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারী শপথ গ্রহণ করেন। শপথের তিন মাসের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠনের নিয়ম থাকলেও অদ্যবধি তিনি প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করেননি। তবে ৩০ আগস্ট মাসিক মিটিং এর মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে একাধিক প্রার্থী থাকায় ইউপি সচিবের মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ জানানো হবে বলে সদস্যদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়। পরবর্তীতে সদস্যগণ জানতে পারেন ৩০ আগস্টেই সদস্যদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে স্বাক্ষর নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়েছে।

অপর এক অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কাজে চেয়ারম্যানের সাথে একমত হতে পারেন না সদস্যগণ। বিশেষ করে ইউনিয়নের হাট বাজারের রাজস্ব, পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব ও ১% এর টাকা কোথায় কোন খাতে ব্যয় করা হয় তা সদস্যগণ জানতে পারেন না। এবিষয়ে ইউপি সচিব মো. হুমায়ুন কবিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নিজেও কিছুই জানি না। বিষয়টি নিয়ে মাসিক মিটিং এ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান জানান, এসব বিষয় আপনাদের জানার অধিকার নেই। এতে করে ইউপি সদস্যগণ ধারণা করছেন উক্ত রাজস্বের টাকা ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে চেয়ারম্যান লুটপাট করছেন।

এবিষয়ে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদ মিয়া বলেন, চেয়ারম্যান পরিষদের নিজস্ব রাজস্ব খাতের টাকা কোথায় কোন খাতে ব্যয় করা হয় তা আমরা জানি না। আমরা যদি এবিষয়ে জানতে চাই তাহলে চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের এসব বিষয়ে জানার কোন অধিকার নেই। এছাড়া আমরা অধিকাংশ সদস্য মিলে যাকে প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত করেছি চেয়ারম্যান তা প্রত্যাক্ষান করে নিজের পছন্দের একজনকে মনোনীত করেছেন যাতে তারা জনগণের টাকা লুটপাট করে খেতে পারে।

অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন সম্পর্কে পরিষদে মিটিং হয়েছে। ৬জন প্রার্থী থাকায় পরবর্তী ২দিনের মধ্যে ইউপি সচিবের কাছে জানানোর কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কেউ কোন কিছু জানায়নি। পরে জরুরী প্রয়োজনে প্যানেল চেয়ারম্যান গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। প্রকল্প যখন আসে তখন সদস্যদের মিটিং এ ডাকা হয় কিন্তু তারা মিটিং এ উপস্থিত হন না। তাকে অপদস্ত করতেই এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন কয়েকজন সদস্য।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তাঁদেরকে নিয়ে বসা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন