ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শিউলী আক্তার (৩০) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হতার করার অভিযোগ উঠেছে চাচা শশুরের বিরুদ্ধে। এ সময় নিহত নারীর স্বামী শরিফুলকে হতার উদ্দেশ্যে দা নিয়ে তাড়া করলে সে পুকুরে ঝাপ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।
শনিববার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। শিউলী আক্তার ওই গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামের সিএনজি চালক শরিফুল ইসলাম ও শিউলী আক্তারের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। অভিযুক্ত সোলায়মান একই বাড়ির নেওয়াজ আলীর ছেলে ও শরিফুলের আপন চাচা। গতকাল শুক্রবার বিকালে আপন চাচা সোলায়নের শিশু সন্তানের সাথে শরিফুলের শিশু সন্তানের ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরে ঘটনার দিন শনিবার সকালে সোলায়মান এসে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী আক্তারকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সোলায়মান দা দিয়ে কুপিয়ে শিউলী আক্তারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে ঘটনাস্থলেই শিউলী আক্তার মারা যায়। এসময় স্বামী শরিফুলকেও হতার উদ্দেশ্যে দা নিয়ে তাড়া করে। শরিফুল দৌড়ে গিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে ঝাপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করে।
মুক্তাগাছা থানার ওসি (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।