জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মিথ্যা অপপ্রচার করায় বোনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মো. নুরুল আলম দুলাল (৫৮)
ও সাইফুল আলম জোসনা (৫৫) নামে দুই ভাই। অভিযুক্ত নারীর নাম মোছা. আম্বিয়া খাতুন (৬২)। শনিবার দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. নুরুল আলম দুলাল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, ১৯৯২ সালে পিতার মৃত্যুর পর তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি তারা তিন ভাই এবং চার বোন মধ্যে ভাগ করে নেন। এরপর তার বড় বোন আম্বিয়া খাতুন তার ভাগের জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেন। তাদের পিতা জীবিত থাকাকালীন সময়েই তার চাচাত বোন মৃত নূরেছেনা ও জুলেখা খাতুনের কাছ থেকে ৩২ শতাংশ জমি সাফ কাওলা মূলে ক্রয় করেন সাইফুল আলম জোসনা ও নুরুল আলম দুলাল। সেই জমি ক্রয়ের পর ভুলক্রমে ১৬ শতাংশ জমি তার পিতার নামে বি.আর.এস রেকর্ডভুক্ত হয়। এ সুযোগে তার বড় বোন আম্বিয়া খাতুন পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে সাড়ে ৫ শতক জমি খারিজ করে নেন। সাইফুল আলম আরও জানান, তার বোন আম্বিয়া খাতুন তাদের ক্রয়কৃত জমি দখল করার জন্য নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ অসত্য। তিনি উক্ত খারিজ বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর আবেদন করেছেন। অপরদিকে বি.আর.এস রেকর্ড সংশোধনের জন্য ঈশ্বরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যা চলমান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আম্বিয়া খাতুনের স্বামী আবুল হাশেম বলেন – ‘ ওই জায়গাটা আমার স্ত্রী পৈত্রিক সূত্রে পেয়ে খারিজ করে ভোগদখলে ছিল। এরপর তার ভাইয়েরা তাকে সেখান থেকে মারধর করে বের করে দেয়। শুধু তা-ই নয়, সে ক্যান্সারে আক্রান্ত তার চিকিৎসার কাগজগুলোও নিতে দেয়নি। যেকারণে গত ৪ মাস ধরে তার চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। ‘