শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নান্দাইলে ৪ হাজার এসএসসি শিক্ষার্থীকে ইউএনও’র খোলা চিঠি ঈশ্বরগঞ্জে ৫৫০০ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ দিচ্ছে বিএনপি ঈশ্বরগঞ্জে ভাড়া-নৈরাজ্য ঠেকাতে ১৩ যানবাহন ডাম্পিং, জেল-জরিমানা ময়মনসিংহ নগরবাসীর পছন্দ “লুমিনাস রেস্টুরেন্ট” আলোচিত ব্যক্তিরাই সমালোচিত হয়: জনপ্রিয়তার বিষম বসন্ত -কৃষিবিদ মোঃ আতিকুর রহমান ময়মনসিংহে জমে উঠেছে ঈদ বাজার মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ লোকাল ট্রেনটি চালুর দাবীতে রেলওয়ে মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াত মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ লোকাল ট্রেনটি বন্ধ রাখার প্রতিবাদে এবং পুনরায় চালু দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন থানায় অপচিকিৎসার অভিযোগ করায় প্রেসক্লাবে ফেলে সাংবাদিককে পেটালেন সন্ত্রাসীরা

হুম গুটির হোমাগ্নি – আ শ মামুন

আ শ মামুন
  • আপডেট : সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৯০৭ বার পড়া হয়েছে
ছবি- সংগৃহীত

হুম গুটি হুম গুটি, গুটি গুমের খেলা, এই খেলাটি শুধু খেলে ময়মনসিংহ জেলা।
ফুলবাড়িয়া উপজেলা, লক্ষীপুর গ্রাম, ইতিহাসের পাতায় লেখা এমন জায়গার নাম।
দু’ শো ষাটের অধিক বছর চলছে খেলা এমন, বিস্মিত হই কেমন করে টিকছে এমন বন্ধন।
লক্ষ লোকের আনাগোনা যেন ঈদের সুখ, ঘরে ঘরে পিঠাপুলি খুশির মিষ্টিমুখ।
পৌষের শেষের দিনটি আসে ফুলবাড়িয়া থানায়, ইষ্টিকুটুম কার কি কত ভরবেই কানায় কানায়।
এই যে এত খুশির জোয়ার এর ইতিহাস কি? শুনুন তবে এই ঘটনার ইতিবৃত্ত বলছি।
শশীকান্ত রাজার কথা সবারইতো জানা, হেমচন্দ্র আরেক রাজা আরেক পরগণা।
মুক্তাগাছায় শশীকান্ত ময়মনসিংহ সহ, জমিদারী ঐ আমলে জমিই আসল মোহ।
কেউ কি ছাড়ে এক শতাংশ থাকতে বিন্দু রক্ত, হেমচন্দ্র আরেক রাজা তিনিও শক্তপোক্ত।
জমির হিসেব শতাংশ তে একেক জায়গায় একেক, কারণ কেহ ভাবি কি মুই যদিও আমি লায়েক।
তিন শতাংশ ছয় শতাংশ দশ শতাংশেও কাঠা, আরে বাপরে এইটা কেন মেনেই চলছি সেটা।
শশীবাবু হেমবাবুতে বিভেদ ছিলো এই, যুদ্ধ নহে সমাধান চাই দ্রুত অচিরেই।
বললো শশী জিতবো আমি নয় শতাংশেই কাঠা, হেমবাবু কি কম শক্তিমান দেড়হাত বুকের পাটা।
শেষে তারা মিলেমিশে গুটির বড়াই দিলো, গুটিখাণি কাড়তে হবে কাঁদা করে ধুলো।
রাজায় রাজায় যুদ্ধ চলে রাজায় রাজায় মিল, মন্ত্রী মশাই এমন সুখে হঠাৎ মারেন ঢিল।
ঢিলের তালে রাজা শশী হেমের মাথা নষ্ট, সেনাপতি যুদ্ধ চালাও রাখবো অবশিষ্ট?
অবশেষে থামলো যুদ্ধ মিমাংসার এক পথ, হাতি শালায় হাতি রাখো বন্ধ কর রথ।
শশী বাবুর প্রজা সৈন্য নামলো গুটির খেলায়, হেম বাবু কি ছেড়ে দিবে হাড়বে হেলায় হেলায়?
গুটি নিয়ে কাড়াকাড়ি চললো টানা সপ্তাহ, আর পারেনা টানতে গুটি বড্ড বেশী মাপটা।
শশীকান্ত জিতলো শেষে নয় শতকের কাঠা, হেমবাবু ঐ কমের হিসাব দুধের বদল মাঠা।
ঐ যে গুটির খেলা আজো চলছে দু’ শো ষাট, এমন খেলা দেখতো আগে বৃটিশ বড় লাট।
বৃটিশ গেলো পাকিস্থানও বিদেয় হলো শেষে, আজব খেলা আমরা ধরে রাখছি ভালোবেসে।
গুটির ওজন এখন যেমন সাতাশ কিলোগ্রাম, সোনার রঙে পিতল পাতে মহামূল্যবান।
লাখের অধিক মানুষ জমে এমন হাসির খেল, বিবাদ নেই ঝগড়া নেই নাই যে হাজত জেল।
এমন মিলন উদাহরণ গোটা বাংলায় নাই, কাড়াকাড়ি ঠেলাঠেলি তবুও ভাই ভাই।
দলের কোন শেষ নাই চায়না সোনার কাপ, উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম সবারই প্রতাপ।
এবার খেলায় জিতলো শেষে পুব্ব্যা (পূর্ব)বাহিনী, বছর বছর খেলা চলছে বিরাট কাহিনি।
বালাশ্বর গ্রামের মতিউর রহমান কাকা দিলেন তথ্য, বয়স আশি দেখছি খেলা সব ঘটনাই সত্য।
পুঁথির লেখক আ শ মামুন ঘটনা যায় বলে, হাজার বছর পরে মানুষ পড়বে খাতা খুলে।
এমন খেলার মাহাত্ম্যটা চলুন করি পোষণ, মানুষ মোরা গর্বিত হই জিতে পদ্মভূষণ।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন