শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন: সভাপতি আব্দুল আউয়াল, সম্পাদক আতাউর রহমান বিরাজনীতিকরণ নাকি রাজনৈতিক সংস্কার-প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি ময়মনসিংহে প্রথমবাবের মতো ভিনদেশী লিলিয়াম ফুলের চাষ ঈশ্বরগঞ্জে ইউএনওর বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের মানববন্ধন বাকৃবির নতুন সিন্ডিকেট কমিটি সদস্য বিনার মহাপরিচালক বইলর-ধানীখোলা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা’য়াতের উদ্যোগে ইসলামী মহাসম্মেলন নারীর প্রতি সবধরনের নির্যাতন বন্ধ করে শান্তি ও  নিরাপত্তার জন্য সকলে মিলে সর্বত্র কাজ করতে হবে আত্মোন্নতির জন্য পরিশ্রম ও উদ্যমের কোনো বিকল্প নেই গোটা কুরআন আমাদের কর্মসূচি এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ঈশ্বরগঞ্জে আউশের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝলক

এহছানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩
  • ৬২৪ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চলতি মৌসুমে আউশ ধানের ভালো ফলন হয়েছে। কোথাও চাষিরা ধান কাটতে শুরু করেছে, আবার কোথাও শিগগিরই কাটা শুরু করবে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকের পরিবারগুলোতেও দেখা যাচ্ছে খুশির ঝলক।

ধান চাষিরা বলছেন, আউশ ধান চাষে খরচ কম। সরকারি কিছু সহায়তা পাওয়া গেছে। বাজারে ধানের দাম ভালো। এ কারণে তারা এবার আউশ ধান চাষে ঝুঁকেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত আউশ মৌসুমে উজেলায় ২৪০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছিল। এবার চাষ হয়েছে ৩২০ হেক্টর জমিতে। গত মৌসুমের চেয়ে এবার ৮০ হেক্টর বেশি জমিতে আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছে। এবার আউশে ব্রিধান-৪৮,৮৫, ৯৮ এবং বিনাধান-১৯ জাতের ধানের চাষ হয়েছে।

কৃষি অফিস বলছে, এবার উপজেলার ৫০০ জন কৃষককে আউশ চাষে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষক ৫ কেজি করে বীজধান, ১০ কেজি করে ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) এবং ১০ কেজি করে এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার উপজেলার কয়েকটি এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও ধানগাছ থেকে শীষ বের হচ্ছে। আবার কোথাও ধান পাকতে শুরু করেছে। কোথাও আবার আউশ চাষিরা ধান কাটা, ধানের আঁটি বাঁধা এবং ধান মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত।

উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বড়হিত গ্রামের কৃষক আমিনুল(৪০) বলেন, এবারেই প্রথম আমার ৭০ শতাংশ পতিত জমিতে আউশ ধান চাষ করেছি। ফলনও খুব ভালো হয়েছে। এসময়ে খড়ের চাহিদা থাকায় ধান ক্ষেতে থাকতেই লোকজন খড়ের জন্য যোগাযোগ করছে। বাজারে ধানের দামও বেশ ভালো। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় আউশধান চাষ করেছি। তিনি আরও জানান, তার জমির ধান ৪-৫ দিনের মধ্যে কাটবেন। তারা আশা করছেন প্রতি কাঠায় ৪-৬ মণ ধান পাবেন।

একই ইউনিয়নের পাড়া পাঁচাশি গ্রামের শফিকুল ইসলাম(৫০)বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে ৫০ শতাংশ জমিতে আউশ ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছি। ধান,বন(খড়) ও ধানের দামও ভালো।
তিনি বলেন, আউশ ধানের খরচ বোরো ধানের অর্ধেক। এবার আবহাওয়া খুব ভালো ছিল। কৃষি অফিস থেকে কিছু সহায়তাও পেয়েছি। ধানের এবার ভালো ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান বলেন, এবছর আউশধানের ফলন ভালো হয়েছে। যাঁরা আউশধান চাষ করেছে ফলন ভালো হওয়ায় অন্য কৃষকরাও আউশধান চাষে উৎসাহী হচ্ছে। ধানের দাম ভালো। তা ছাড়া, আউশ ধান চাষে খরচ কম। উপজেলায় এবার ৩২০ হেক্টর বেশি জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে। উপজেলার আউশ চাষিরা কৃষি বিভাগের পরামর্শে সঠিক সময়ে আউশ ধান রোপণ ও বপনের কাজ করেছে। যে কারণে খুব ফলন ভালো হয়েছে ।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন