রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন: সভাপতি আব্দুল আউয়াল, সম্পাদক আতাউর রহমান বিরাজনীতিকরণ নাকি রাজনৈতিক সংস্কার-প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি ময়মনসিংহে প্রথমবাবের মতো ভিনদেশী লিলিয়াম ফুলের চাষ ঈশ্বরগঞ্জে ইউএনওর বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের মানববন্ধন বাকৃবির নতুন সিন্ডিকেট কমিটি সদস্য বিনার মহাপরিচালক বইলর-ধানীখোলা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা’য়াতের উদ্যোগে ইসলামী মহাসম্মেলন নারীর প্রতি সবধরনের নির্যাতন বন্ধ করে শান্তি ও  নিরাপত্তার জন্য সকলে মিলে সর্বত্র কাজ করতে হবে আত্মোন্নতির জন্য পরিশ্রম ও উদ্যমের কোনো বিকল্প নেই গোটা কুরআন আমাদের কর্মসূচি এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

ঈশ্বরগঞ্জে ভিজিডি চাল আত্মসাৎ, চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল

এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট : রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৬৪১ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ভি.জি.ডি চাল আত্মসাৎকারী রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কার্ডধারী ভুক্তভোগীরা। রোববার বিকেলে ভুক্তভোগীদের আয়োজনে ওই বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে বের হয়ে শাহগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে শেষ হয়।

উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেল পমেন্ট বা দুস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচির আওতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে অনলাইনে আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নে ৩১৫ জন নারীর নাম চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারী প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। অথচ উল্লিখিত তালিকার ১২৬ জন উপকারভোগী ২১মাসের চাল পায়নি। যা তদন্তে প্রমাণ মেলেছে।

পরে ওই ইউনিয়নের উপকারভোগী কার্ডধারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। সেই অভিযোগে প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সানোয়ার রাসেলকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কায়সার তালুকদার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ্জহুরা। পরে উক্ত কমিটি ২০ নভেম্বর সরেজমিন তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের প্রথম দিনেই ১২৪ জন কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ২৮জন চাল পায় নি। দ্বিতীয় দিন ২৩ নভেম্বর আরও ১১০ জনের কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ২০জন চাল পায়নি। পরবর্তীতে ইউপি সচিব ও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ২৬ নভেম্বর ৯ জন কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ৭ জন চাল পায়নি। ২৯ নভেম্বর ২৫ জন কার্ডধারীর সাক্ষাৎকার নেন, যাদের মধ্যে ২৪জন চাল পায়নি। এনিয়ে সরেজমিন সাক্ষাৎকারে মোট ৭৯জন কার্ডধারী ২১ মাসের চাল পায়নি বলে তদন্ত কমিটি জানতে পারেন। এছাড়া আরও ৪৭ জন কার্ডধারীর কোনো সন্ধান খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। এছাড়াও ভিজিডি পরিপত্রে উপকার ভোগীদের মাঝে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণের নিয়ম থাকলেও একসঙ্গে তিন মাসের চাল বিতরণের অভিযোগও রয়েছে ভুক্তভোগীদের।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা কমিটির আহ্বায়ক সানোয়ার রাসেলের কাছে ৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনে ভিজিডি চাল বিতরন অনিয়মের বিষয়টির প্রামন মেলেছে। যা ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির দায় এড়াতে পারেন না।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন