বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহে বিস্ফোরক আইনের মামলায় চেয়ারম্যান গ্রেফতার স্বৈরশাসকের পদত্যাগ পত্র লাগেনা, জনতার গণ ধোলাইয়ের ভয়ে ক্ষমতা ছেড়ে পালায়- খেলাফত আন্দোলন আমাদের টার্গেট হলো সৎ ব্যবসায়ী তৈরী করা- মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ইজিবাইকের সিটের নিচ থেকে ৩৯৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, আটক ২ ময়মনসিংহে লুটের গরু জবাই করে মাংস ভাগ—বাটোয়ারা করলেন আ.লীগ নেতা ঈশ্বরগঞ্জে চুরি-ছিনতাই, জুয়া-মাদকের লাগাম টেনে ধরলেন ওসি ঈশ্বরগঞ্জে আগাম সবজির ক্ষতি, লাগামহীন দামে দিশেহারা ক্রেতারা  শিক্ষার্থী সাগর হত্যা, আন্দোলন দমাতে চেইন ষ্টিক নিয়ে মহড়া দেয়া যুবলীগ কর্মী গ্রেফতার প্রকাশ্য রাজনীতি নাকি আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিকস (১ম পর্ব) আগামীদিনের বাংলাদেশ হবে জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ- এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের দোকান-বাড়িতে হামলা-লুটপাট, গ্রেপ্তার এক

এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট : শনিবার, ৬ মে, ২০২৩
  • ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চাঁদা দাবি করে

না পেয়ে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক (ইউপি) চেয়ারম্যান একেএম মুদাব্বিরুল ইসলামের দোকান ও বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের করা মামলায় গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে মো. বাবুল মিয়া (৫০) নামে ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আজ (০৬ এপ্রিল) শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএস মোস্তাছিনুর রহমান।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল সাবেক ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে চাঁদা দাবি করে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান একেএম মুদাব্বিরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত (০৪ মে) ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর (টান মালমারী) এলাকার মো. আবু কায়সারের ৩ ছেলে মো. আরমান (৩০) , মো.ইমন মিয়া (২৬) ও মো. আরাফাত হোসেন। একই এলাকার বাবুল মিয়ার ২ ছেলে মো. সৈকত (২৫) ও সৌরভ (২১)। মো. আব্দুল জব্বারের ২ ছেলে মো. হাদিউল বাশার সুমন (৪৩) ও মো. বাবুল মিয়া (৫০)। পরে অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে মো. বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, উল্লেখিত অভিযুক্তরা আগে থেকেই স্থানীয়ভাবে ব্যাপক অরাজকতা এবং আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। শুধু তা-ই নয়, একেকজনের নামে একাধিক চাঁদাবাজি,
লুটপাট, অস্ত্র বিস্ফোরণসহ মাদক মামলাও রয়েছে। এ ছাড়াও ইয়াবাসহ বিভিন্ন রকম মাদক সরবরাহকরে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংস করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তাছাড়াও এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান একেএম মুদাব্বিরুল ইসলাম বলেন, ‘ ঘটনারদিন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উল্লেখিত আসামিরা আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি জানায়। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমার বাড়িতে এবং আমার ভাড়াটিয়ার দোকানে হামলা চালায়। এসময় দোকানে থাকা নগদ দুই লাখ টাকাসহ, দোকানের মালামাল ও আরেক ভাড়াটিয়া নারীর গলা থেকে স্বর্ণাল্কংকার লুট করে নিয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, আমার একটি মোটরসাইকসহ দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর করে আসামিরা’। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তারকরে শাস্তির দাবি জানান ওই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।

এদিকে মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামিরা বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। যেকারণে তাদের কারোর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের করা মামলায় এক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে’।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন