শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের নবগঠিত এ্যাডহক কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কটিয়াদীতে ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা লিটন গ্রেফতার কটিয়াদীতে লিচু খাওয়ায় শিশুর মৃত্যু মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় কটিয়াদীর যুবক নিহত ত্রিশালে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সমন্বিত কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ কটিয়াদীতে বিদেশি পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ দুইজন গ্রেফতার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে ১১ ব্যাগ ব্লাডসহ ১ (এক) বেসরকারি কর্মচারী আটক ময়মনসিংহে কিশোরকণ্ঠ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মেধাবৃওি ও সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান কটিয়াদীতে নাইট টুর্নামেন্ট ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত  রোটারেক্ট ক্লাব অফ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

হুম গুটির হোমাগ্নি – আ শ মামুন

আ শ মামুন
  • আপডেট : সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৯৪৩ বার পড়া হয়েছে
ছবি- সংগৃহীত

হুম গুটি হুম গুটি, গুটি গুমের খেলা, এই খেলাটি শুধু খেলে ময়মনসিংহ জেলা।
ফুলবাড়িয়া উপজেলা, লক্ষীপুর গ্রাম, ইতিহাসের পাতায় লেখা এমন জায়গার নাম।
দু’ শো ষাটের অধিক বছর চলছে খেলা এমন, বিস্মিত হই কেমন করে টিকছে এমন বন্ধন।
লক্ষ লোকের আনাগোনা যেন ঈদের সুখ, ঘরে ঘরে পিঠাপুলি খুশির মিষ্টিমুখ।
পৌষের শেষের দিনটি আসে ফুলবাড়িয়া থানায়, ইষ্টিকুটুম কার কি কত ভরবেই কানায় কানায়।
এই যে এত খুশির জোয়ার এর ইতিহাস কি? শুনুন তবে এই ঘটনার ইতিবৃত্ত বলছি।
শশীকান্ত রাজার কথা সবারইতো জানা, হেমচন্দ্র আরেক রাজা আরেক পরগণা।
মুক্তাগাছায় শশীকান্ত ময়মনসিংহ সহ, জমিদারী ঐ আমলে জমিই আসল মোহ।
কেউ কি ছাড়ে এক শতাংশ থাকতে বিন্দু রক্ত, হেমচন্দ্র আরেক রাজা তিনিও শক্তপোক্ত।
জমির হিসেব শতাংশ তে একেক জায়গায় একেক, কারণ কেহ ভাবি কি মুই যদিও আমি লায়েক।
তিন শতাংশ ছয় শতাংশ দশ শতাংশেও কাঠা, আরে বাপরে এইটা কেন মেনেই চলছি সেটা।
শশীবাবু হেমবাবুতে বিভেদ ছিলো এই, যুদ্ধ নহে সমাধান চাই দ্রুত অচিরেই।
বললো শশী জিতবো আমি নয় শতাংশেই কাঠা, হেমবাবু কি কম শক্তিমান দেড়হাত বুকের পাটা।
শেষে তারা মিলেমিশে গুটির বড়াই দিলো, গুটিখাণি কাড়তে হবে কাঁদা করে ধুলো।
রাজায় রাজায় যুদ্ধ চলে রাজায় রাজায় মিল, মন্ত্রী মশাই এমন সুখে হঠাৎ মারেন ঢিল।
ঢিলের তালে রাজা শশী হেমের মাথা নষ্ট, সেনাপতি যুদ্ধ চালাও রাখবো অবশিষ্ট?
অবশেষে থামলো যুদ্ধ মিমাংসার এক পথ, হাতি শালায় হাতি রাখো বন্ধ কর রথ।
শশী বাবুর প্রজা সৈন্য নামলো গুটির খেলায়, হেম বাবু কি ছেড়ে দিবে হাড়বে হেলায় হেলায়?
গুটি নিয়ে কাড়াকাড়ি চললো টানা সপ্তাহ, আর পারেনা টানতে গুটি বড্ড বেশী মাপটা।
শশীকান্ত জিতলো শেষে নয় শতকের কাঠা, হেমবাবু ঐ কমের হিসাব দুধের বদল মাঠা।
ঐ যে গুটির খেলা আজো চলছে দু’ শো ষাট, এমন খেলা দেখতো আগে বৃটিশ বড় লাট।
বৃটিশ গেলো পাকিস্থানও বিদেয় হলো শেষে, আজব খেলা আমরা ধরে রাখছি ভালোবেসে।
গুটির ওজন এখন যেমন সাতাশ কিলোগ্রাম, সোনার রঙে পিতল পাতে মহামূল্যবান।
লাখের অধিক মানুষ জমে এমন হাসির খেল, বিবাদ নেই ঝগড়া নেই নাই যে হাজত জেল।
এমন মিলন উদাহরণ গোটা বাংলায় নাই, কাড়াকাড়ি ঠেলাঠেলি তবুও ভাই ভাই।
দলের কোন শেষ নাই চায়না সোনার কাপ, উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম সবারই প্রতাপ।
এবার খেলায় জিতলো শেষে পুব্ব্যা (পূর্ব)বাহিনী, বছর বছর খেলা চলছে বিরাট কাহিনি।
বালাশ্বর গ্রামের মতিউর রহমান কাকা দিলেন তথ্য, বয়স আশি দেখছি খেলা সব ঘটনাই সত্য।
পুঁথির লেখক আ শ মামুন ঘটনা যায় বলে, হাজার বছর পরে মানুষ পড়বে খাতা খুলে।
এমন খেলার মাহাত্ম্যটা চলুন করি পোষণ, মানুষ মোরা গর্বিত হই জিতে পদ্মভূষণ।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন