‘আগুনে পুড়ে আমাদের সব শেষ অইয়া গেছে,কিছুই বাকী রইলো না। আমার টাকা-পয়সা ,পাট , সেলাই মেশিন ও ধান চালসহ সংসারের প্রয়োজনীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে’—বারবার এই কথাগুলো বলে বিলাপ করছিলেন বিলকিস(৪০)।
পাশে দাঁড়িয়ে দুইজন প্রতিবেশী তাকে তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন। বিলাপকারী বিলকিস ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পস্তারী গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। বসতঘরসহ আগুনে তাঁর তিনটি ঘর পুড়ে গেছে। শুধু বিলকিসই নয়, এসময় অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে আরও দুই পরিবারের দুটি বসতঘর। বিলকিসদের দাবি আগুনে পুড়ে তাদের প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আরেকজন রিতা বেগম(৪০) বলেন, আমার ঘরের সব শেষ। নগদ ১ লক্ষ টাকাসহ বসতঘরে থাকা ধান-চাল ঘর ও সংসারের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রাই ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । তিনি একই গ্রামের শহিদুল্লাহ’র স্ত্রী।
ক্ষতিগ্রস্ত অপর একজন হলেন মৃত আব্দুর রাশিদের স্ত্রী রাহিমা খাতুন।তিনি বলেন,আমি কিছুই বলতে পারবো না, আমার সব শেষ। বিদেশ থেকে ছেলের পাঠানো টাকা , ফ্রীজসহ সংসারের যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রাই ৮লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে তিন পরিবারের নগদ অর্থ সহ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত রবিবার আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে । সাইফুলের বসতঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে মূহুর্তের মধ্যে পার্শ্ববর্তী রাহিমা ও শহিদুল্লাহ ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এর লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার স্টেশন অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।