ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে বাসা দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এক পরিবার। শনিবার দুপুরে পৌর এলাকায় কাকনহাটি নিজ বাড়িতে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের মোছাঃ সাজমুন্নাহার সাজু।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা আজ অন্যায়ের শিকার। তাই আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি। আমার শ্বশুর ইসহাক মিয়া তাঁর জীবনের সকল সক্ষমতা দিয়ে একটি বাসা তৈরি করেন। বাসাটি ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের ধামদী গ্রামে অবস্থিত। ২০১৮ সালে বাসাটি ভাড়া নেয় মমতাজ জাহান মিতু। কিছুদিন ঠিকমত ভাড়া দিলেও ২০২১ সাল থেকে ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয় সে। ভাড়া নিতে গেলে নানা টালবাহানা করা শুরু করে। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন সে নিজেকে বাসার মালিক বলে দাবি করে। এর জন্য সে কিছু ভুয়া কাগজপত্রও তৈরি করে। আমার স্বামী রুবেল মিয়া বিষয়টি নিয়ে বিভিন্নজনের সাথে কথা বললে বিরক্ত হয় মমতাজ জাহান মিতু। বিভিন্নজনের কাছে সে রুবেলকে শিক্ষা দেবে বলে জানায়। এর কিছুদিন পরেই আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটতে বাধ্য করে। এতেও সে ক্ষান্ত হয়নি। আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে হুমকি দেওয়া চালিয়ে যায়। আইনমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভয় দেখিয়ে মামলা করার কথা তার মুখে অহরহ। পৌরসভার অনুমতির বাইরে গিয়ে বাসায় অবৈধ দেওয়াল তৈরি করেছে মিতু। সেই অবৈধ দেওয়ালে বঙ্গবন্ধুর ছবি লাগিয়ে বৈধ করার অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্ম দিয়েছে। আমার স্বামী জেল থেকে ছাড়া পেলে আবার মামলা দিবে বলে লোকজনকে বলে বেড়াচ্ছে মিতু। আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি। বাসা হারানোর ভয়, সেই সাথে মামলা-হামলার ভয়। উল্লেখ করতে চাই, মিতু অত্যন্ত দাঙ্গাবাজ মহিলা। তার ভয়ে সাধারণ মানুষ মুখ খুলতেও ভয় পায়। ক্ষমতাশীল আওয়ামীলীগের ময়মনসিংহের মহিলা লীগের কথিত সদস্য পরিচয়ে মানুষকে ভীত রাখে সে। তার নৈতিক চরিত্র সম্পর্কে অবগত দু’চার গ্রামের লোকজন। পূর্বেও অন্যের জায়গা দখল করার রেকর্ড রয়েছে তার। তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাকে কয়েকবার উচ্ছেদ করে অবৈধ দখল থেকে। পরবর্তীতে সে ফন্দি আঁটে আমাদের বাসা দখলের। তার বিরুদ্ধে কয়েকবার অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কোন ধরণের আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে মিতু। বাসা ছাড়ার জন্য তিনটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও কোন পাত্তা দেয়নি সে। তার এ ধরণের কৃতকর্মের একমাত্র উৎস আওয়ামীলী মহিলা লীগের সদস্য হওয়া। নিজের বাবার বিরুদ্ধে মামলা করতেও দ্বিধা করেনি সে। এতে খুব সহজেই তার চরিত্র সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। এমন অবস্থায় আমরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেহেদী হাসান রুবেল মিয়া, ভুক্তভোগী পরিবারের ইসহাক মিয়া,আব্দুল জব্বার, ফারুক আহমেদ, আব্দুর রহিমসহ এলাকাবাসী।