ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) আনুমানিক বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার চরনিখলা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বজলুর রহমানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শনিবার বিকেলে বজলুর রহমানের স্ত্রী বাদী হয়ে এজাহার ভোক্ত ৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭ জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন-একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে মো.হেকিম (৪৪), মৃত হাসান আলীর ছেলে মো. আঃ সালাম (৫৮), মো. কদ্দুছ (৫৫), মো. আমিনুল (৩০), মো. শামীম (৩৫),মো. রুহুল (২৮), মো. আমিন মিয়া (২৪), মোঃ মজিবুর (৫১)।
ভুক্তভোগী পরিবার ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শনিবার ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ গুন্ডা ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য বজলুর রহমানের বাড়িতে দা, রামদা, লোহার রড ও লাঠিসোটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সন্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, মালামাল লুটপাট করে নেয় অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়,বজলুর রহমানের বড় ছেলে ইয়াসিন আরাফাত সানির বিদেশ যাওয়া বাবদ রাখা নগদ ৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকাসহ আরও ৪ লক্ষ্য টাকার স্বর্ণালঙ্কারও হামলাকারীরা লুট করে নিয়ে যায়।
ভাঙচুরের সময় বজলুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বাঁধা দিলে তাকে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। বর্তমানে তিনি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
ভুক্তভোগী শাহনাজ বেগম বলেন, মো. হেকিমের হুকুমে ১৫-২০ জন লোক আমাদের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে শনিবার দুপুরে হামলা চালায়। এ-সময় আমি বাঁধা দিলে আমার হাত-পা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাথারী মারপিট করে জখম করে। ঘরের মালামাল ভাঙচুর করেই ক্লান হয়নি তারা। আমার ছেলেকে বিদেশ পাঠানো বাবদ নগদ টাকা ও ড্রয়ার ভেঙে ড্রয়ারে থাকা সব স্বর্ণ-রূপার অলঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। আমি কঠিন বিচার চাই। আর আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্তদের একজন মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘তারা এলাকাবাসীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বাড়ির দিকে রওনা দিলে এলাকার মুরুব্বিারা আমাদের ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু তাদের বাড়িতে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি সাজানো নাটক।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।