ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নারী সদস্যকে চুলের মুঠি ধরে লাঞ্ছিত ও মারধরের ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই এবার মেম্বারকে পেটালেন একদল দুর্বৃত্ত। নারী সদস্য রোকসানাকে পেটানোর ঘটনার প্রায় ছয়দিন পর আবুল বাশার নামে আরেকজন ইউপি সদস্য বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন। উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল বাশারকে বেধড়ক মারধর ও তার ওপর হামলা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বুধবার বিকেলে উচাখিলা স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার সময় পাশে থাকা অত্র ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাসুদ রানা মুঠোফোনে জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির কাছের কিছু লোকজন হঠাৎ করে ইউপি সদস্য আবুল বাশারের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে মারপিট করে আহত করে চলে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। শরীরে বড় ধরনের কাটাছেঁড়ার জখম না থাকলেও লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করায় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত রয়েছে।
নিজের পরিষদের মেম্বারকে দুর্বৃত্তরা মারধর করা সম্পর্কে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হাসান খান সেলিম বলেন, বুধবার দুপুরে তিনি সকল মেম্বারদের নিয়ে পরিষদে বসা ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আবুল বাশার মেম্বার এবং মাসুদ মেম্বার একটি মোটর সাইকেল নিয়ে পরিষদ থেকে বের হয়ে যায়। একটু পরে খবর আসে বাশার মেম্বারকে ৪ থেকে ৫ জন ছেলে স্কুল গেটের সামনে মারধর করে চলে গেছে। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করি কিন্তু তারা কেউ ছেলেগুলোকে চিনতে পারেনি বলে জানান। পরে আহত ইউপি সদস্যকে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে বলি। হামলার সময় সাথে থাকা মেম্বার মাসুদ রানা বলেছে হামলাকারীরা চেয়ারম্যান এর বাড়ির কাছের লোক এমন বিষয় জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, এগুলো সবই মিথ্যা এবং পরিকল্পিত কথা। তারপরও যদি এমন কেউ চিহ্নিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার ইউপি নারী সদস্য রোকসানা লাঞ্ছিত ও মারধরের শিকার হন। এ ঘটনার প্রায় ছয়দিন পর আরেকজন ইউপি সদস্য মারধরের শিকার হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান জানান, ইউপি সদস্যের ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।