ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে হাসিনা বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (৯ অক্টোবর) আনুমানিক সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার কাকনহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা হাসিনা বেগম ওই গ্রামের মৃত হারিছ উদ্দিনের স্ত্রী।
এবিষয়ে পুত্রবধূ আমেনা খাতুন জানান, নিহত বৃদ্ধা আমার শ্বাশুড়ি। সোমবার সকালে শ্বাশুড়ির সাথে আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ বাঁধে। পরে সকাল দশটার দিকে আমি আমার স্বামী মো. রফিক মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বাড়ির ছাঁদে যাই। এদিকে আমার শ্বাশুড়ি ঘরের দরজা খোলা রেখে নিজ রুমের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পাশের রুমে থাকা আমার ছোট দুই ছেলে-মেয়ে তার দাদুকে ঝুলতে দেখে আমাকে ডাক দেয়। তখন আমি দৌড়ে এসে শ্বাশুড়িকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।পরে ওড়না কেটে আমি ওনাকে খাটের ওপরে রাখি। তৎক্ষনাৎ আমি বিষয়টি জানিয়ে প্রতিবেশী মোস্তাকিম মিয়াকে আসতে বলি।তিনি আমাদের বিপদ-আপদে সব সময় সহযোগিতা করেন। তিনি এসে স্থানীয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক এসিস্ট্যান্টকে এনে ইসিজি করানোর পর জানতে পারেন শ্বাশুড়ি মারা গেছে।
এবিষয়ে মোস্তাকিম বলেন, তাদের বিপদ-আপদে সবসময় আমাকে খবর দেয়। আজও এই খবর পেয়ে এসে দেখি বৃদ্ধা হাসিনা বেগমের দেহ খাটের ওপর শুয়ানো এবং উপরে চেয়ে দেখি ফ্যানের সঙ্গে ওড়নার অর্ধেক অংশ ঝুলে আছে। পরে আমি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে একজন লোক এনে জানতে পারি তিনি মৃত।
এদিকে স্থানীয়রা বলছে সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে থাকলে পরিবারের লোকজন বা পুত্রবধূ কেন তৎক্ষনাৎ পুলিশকে জানায়নি। আর আত্মহত্যা করলে কেউ কি দরজা খোলা রেখে আত্নহত্যা করে? নিহতকে দেখতে এসে অনেকেই এসব প্রশ্ন তুলেন। তবে পরিবারের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।