শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরগঞ্জে ফ্যানের বাতাসে ধান উড়ানোর সময় বিদ্যুৎপৃষ্টে কৃষাণীর মৃত্যু হিট স্ট্রোক আপদ- আ শ মামুন আ.লীগের সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যারিষ্টার উম্মি ফারজানা ছাত্তার, দিলেন স্মার্ট ঈশ্বরগঞ্জ বিনির্মানের প্রতিশ্রুতি বাবাদের কাঁধে সন্তানের লাশ, ছেলের মুখ থেকে বাবা ডাক শোনা হলো না শাহ্ আলমের নানা আয়োজনে ঈশ্বরগঞ্জে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত ঈশ্বরগঞ্জে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা ঈশ্বরগঞ্জে সেলাইমেশিনসহ ঈদ উপহার পেল ২৩০ পরিবার এতিম শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করলো “জনতার ঈশ্বরগঞ্জ”    ধলাই খালবাসী পেল স্বপ্নের সেতু

ঈশ্বরগঞ্জে ফুলকপির ভালো ফলনে স্বাবলম্বী কৃষক

এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৭০ বার পড়া হয়েছে

চলতি মৌসুমে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় ফুলকপির ভালো ফলন হয়েছে। অল্প খরচে ফুলকপি চাষ করে ভালো ফলনে পাওয়ায় স্বাবলম্বী হয়েছেন কৃষক। কৃষকরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়া ও সময়মতো বীজ বপনের পাশাপাশি সুষম সার ব্যবহারের কারণে এবার ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলার উচাখিলা ও রাজিবপুর ইউনিয়নে ফুলকপির ভালো আবাদ হয়েছে। এই অঞ্চলের কৃষকরা ফুলকপির পাশাপাশি অন্যান্য সবজির আবাদও করে থাকেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যেই হোয়াইট মার্বেল,সুদর্শন, বিশাল জাতের ফুলকপি কপি বিক্রি করতে পারছেন কৃষকরা। দামও পাচ্ছেন বেশ ভালো। চলতি মৌসুমে নানা প্রতিকূল আবহাওয়ার মাঝেও ফুলকপিসহ নানান রকমারি শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। চাষিরা তাদের উৎপাদিত এই সবজি এখন বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শীত মৌসুমে এই সবজির চাহিদা বেশি হওয়াতে বাজার দরও ভালো পাচ্ছে চাষিরা।

চলতি মৌসুমে উপজেলার বাজারগুলোতে কৃষকেরা আগাম জাতের প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি করেছেন ৭০-৮০ টাকা দরে। তবে বাজারে শীতকালীন সবজির চাহিদা বাড়ায় এখন প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা দরে।

সরজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে,উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের কৃষক
আব্দুর রাজ্জাক, নূর ইসলাম,রবিকুল ইসলাম ফুলকপি চাষ করেছেন। তারা জানান, শীতকালীন সবজি ফুলকপি আবাদ করে ভালো লাভ হওয়ায় তারা এই সবজি চাষে ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে। চাষবাদ ও বাজারজাতে কষ্ট হলেও ভালো ফলন আর আশানুরূপ দাম পাওয়ায় তারা অনেকটাই খুশি।

একই গ্রামের ফুলকপি চাষি সাগর জানান,তিনি দশ কাটা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এতে খরচ বাদে তার দেড় লক্ষ্য টাকা লাভ হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখানকার উৎপাদিত ফুলকপি কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা সরাসরি ক্ষেত অথবা পাইকারি বাজার থেকে পিচ হিসেবে কিনে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ফুলকপি চাষে অন্যান্য ফসলের খরচের তুলনায় লাভ বেশি হয় বলে দাবি চাষীদের। ফুলকপির বাজার ভালো হওয়ায় গতবছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের আশাই করছেন কৃষকরা।

বৃহস্পতিবার এসব এলাকার ফুলকপির ব্লক পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ খান,উচাখিলা ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার জিয়াউর রহমান, নাজমুল হোসাইন,মোঃ হারুন অর রশীদ প্রমুখ।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান জানান, চলতি মৌসুমে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও রকমারি শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ফুলকপি চাষ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। এতে লাভবান হচ্ছে কৃষক। সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদানের জন্য উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ প্রতিটি ফসল চাষের সময় কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন