১৫ অক্টোবর ২০২৫ খ্রিঃ কুড়িগ্রামে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রোগিদের বিভিন্নভাবে হেনস্থার অভিযোগে কুড়িগ্রাম সদর থানা ও সদর ফাঁড়ি পুলিশের একটি চৌকস টিম তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুড়িগ্রাম সদর কৃষ্ণপুর হাসপাতাল পাড়া এলাকার নাহিদ ইসলাম (২৭), মোঃ নুর হোসেন, মোঃ রায়হান মিয়া (২৭), হরিকেশ মধ্যপাড়া এলাকার আনোয়ার (৩০) ও সরদারপাড়া এলাকার মোঃ মারুফ মিয়া (৪০)।
১৪ অক্টোবর রাতে ১ জন এবং ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ সকালে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে আরো ৪ জনসহ মোট ৫ জন দালালকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে জিম্মি করে কখনো বাড়তি সেবার কথা কখনো সুচিকিৎসার কথা বলে দীর্ঘদিন থেকে চাঁদাবাজির সাথে জড়িত দালাল চক্রের মূল হোতা হাসপাতাল পাড়া, হাটিরপাড় এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর পুত্র মোঃ মাসুদ রানা বাবু ওরফে মার্ডার বাবু (৪০) এবং তার ভাই মারুফ (৩২) দীর্ঘদিন থেকে চাঁদাবাজি করে আসছে বলে জানিয়েছেন, হাসপাতাল পাড়া এলাকার অনেকে। এরইমধ্যে ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুব শক্তির নেতা মোঃ জাহিদ হাসান তার তাওয়াইকে হাসপাতালে ভর্তি করার সময়ে ভর্তি বাবদ সাতশত টাকা দাবী করে এজাহারে বর্ণিত ২ নং আসামী মারুফ। কেন টাকা দিতে হবে জানতে চাইলে শুরু হয় তর্ক বির্তক। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মারুফ জাহিদ হাসানকে অতর্কিত আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান ও মামলার বাদী মোঃ তরিকুজ্জামান তমাল এবং অপরাপর উপস্থিত সাক্ষীগণ। এরপরে
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ওসি ডিবি মোঃ বজলার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দালালদের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং স্থানীয় জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের তৎপরতায় ৫ জন দালালকে গ্রেফতার করেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল শতভাগ দালালমুক্ত করার লক্ষ্যে কুড়িগ্রামের এই অভিযান অব্যহত থাকবে।