ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হয়ে গ্রামে ঢুকে বাড়ি-ঘরে হামলা-ভাঙচুরের পর দুইজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোহাগি ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামে। (২৬ জুন) বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, মাইজহাটি গ্রামের আবেদ আলী ও মোফাজ্জল হোসেনের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের ফলে ঘরের বেড়া ও আসবাবপত্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে আছে। এসময় জানা গেছে, এ ঘটনায় দুইজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতরা হলেন- মো. ফয়সাল আকন্দ ও মো. আল-আমিন। ফয়সাল ওই গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আহতদের মধ্যে মো.ফয়সাল আকন্দের ভাই মোফাচ্ছেল আকন্দ রাব্বী বাদী হয়ে গত শনিবার এজহারভুক্ত ৪জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও পাঁচজনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরদিন থানায় মামলা রুজু হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। আসামিরা হলেন-মো. জীবন মিয়া(২২),মো. অন্তর মিয়া(২০), মানিক মিয়া(৩৩),নয়ন মিয়া(৪৫)। তাঁদের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গেল রমজান মাসে মাইজহাটি গ্রামের একদল কিশোরদের সাথে পার্শ্ববর্তী টেঙ্গাপাড়া গ্রামের আরেকদল কিশোরদের ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। খেলাকে কেন্দ্র করে উভয় দলের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারপিট হয়। পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি তখন সমাধান করা হয়। ঘটনার সময় টেঙ্গাপাড়া গ্রামের কিশোররা বিষয়টি মেনে নিলেও মনে মনে তাদের ছিল ভয়ংকর ধারণা। ওই ঘটনার জের ধরে গত (২০ জুন) বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে টেঙ্গাপাড়া গ্রামের কিশোররা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাইজহাটি গ্রামে ঢুকে হামলা চালায়। একাধিক বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের পর দুইজনকে দেশীয় রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে ফয়সাল আকন্দের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা রেফার্ড করে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।