ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি সালেহ আহম্মেদ সোহেল হত্যার বিচার হয়নি ২৪ বছরেও। তার বাবা ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এনায়েত উল্লাহ সরকার। ছাত্রলীগ নেতা সালেহ আহম্মেদ সোহেলের মা মনোয়ারা বেগম ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বান্ধবী। ছেলে হারানোর শোকে মনোয়ারা বেগম মারা গেছেন অনেক দিন আগে। বাবা এনায়েত উল্লাহ সরকারের শারীরিক অবস্থাও ভালো নেই। ২৪ বছর ধরে বিচারের প্রহর গুনছেন তিনি।
এনায়েত উল্লাহ সরকার বলেন, আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই। হত্যাকারীদের বিচার না দেখা পর্যন্ত আমার আত্মা শান্তি পাবে না। হত্যাকারীদের বিচার দেখে মরতে চাই।’
জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ১৭ মে ছাত্রশিবিরের একদল ক্যাডার মিছিল নিয়ে স্টেশন রোডে যাওয়ার পথে ডাকবাংলোর সামনে ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন তৎকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি বড়হিত ইউনিয়নের চরপুম্বাইল গ্রামের সালেহ আহম্মেদ সোহেলসহ ছাত্রলীগের আরও কয়েক কর্মী। পরে গুলিবিদ্ধ সোহেলকে ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের পর নিহত সোহেলের বড় ভাই শাকিল আহম্মেদ রাসেল বাদী হয়ে ১২ জনকে অভিযুক্ত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার বিচারের কাজ এখনও চলমান। আজও বিচার পায়নি নিহত ছাত্রলীগ নেতা সোহেলের পরিবার।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা সোহেলের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে (১৭মে) বুধবার উপজেলা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়া-মোনাজাত করেন।