জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩২৫ রেজুলেশন এর ভিত্তিতে নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে গঠিত ষ্টিয়ারিং কমিটির পঞ্চম সভা মঙ্গলবার ত্রিশাল শশী ফাউন্ডেশান হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন টেকসই শান্তিতে অবদান রাখতে বাংলাদেশী নারীদের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গত ১০-১২ জুন ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ ব্রাক লাণিং সেন্টারে অনুষ্ঠিত স্থানীয়করণ কর্মশালার শেষ দিনে ত্রিশাল উপজেলার সরকারী কর্মকর্তা, আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নারী নেত্রী, শিক্ষক, সংস্কৃতি কর্মী, স্থানীয় সরকার ও যুব প্রতিনিধিদের নিয়ে উপজেলা ষ্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়। আজকের সভায় স্থানীয়করণ কর্মশালার বিষয়বস্তু পর্যালোচনা সহ পূর্বে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা ও জেন্ডার সমতা, উপজেলা পর্যায়ে নারী ও মেয়েদের উপর সংঘাত ও সহিংসতার প্রভাব এবং শান্তি বিনির্মাণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে নারীর সমস্যা,নিরাপত্তাহীনতা ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিতকরনের মাধ্যমে সমাধানের জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ষ্টিয়ারিং কমিটির উক্ত সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) নেত্রকোণা কেন্দ্রের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ও ষ্টিয়ারিং কমিটিরি সমন্বয়কারী মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী।
সভায় নারী শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি পুন:গঠন সহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের স্ট্যান্ডিং কমিটি সমূহে নারী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, নারী ও শিশু সহায়তা কেন্দ্র সক্রিয়করণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আলী সিদ্দিক’এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানা, উপজেলা একাডেমিক শাহানা আক্তার, ত্রিশাল থানার নারী ও শিশু সুরক্ষা ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর কামরুন্নাহার, রওশনআরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসমা আক্তার, পোড়াবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান অবিনাশ চন্দ্র দাম, মহিলা পরিষদ নেত্রী ও নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদা আক্তার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ^বিদ্যালয়ের উইমেন পিস ক্যাফের সভাপতি তানজুম মোস্তফা অর্না, তৃণমুল নারী নেত্রী মাহমুদা আক্তার প্রমুখ।
সভা শেষে সকল সদস্য অংশগ্রহণমূলক আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে স্থানীয় সমস্যার আলোকে একটি বাস্তবায়নযোগ্য কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করেন। উল্লেখ থাকে যে, নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিএনপিএস মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।