ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এতেই ময়মনসিংহের সিমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলায় শুরু হয়েছে মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ উল্লাস। আনন্দের বন্যা বইছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে নারী ফুটবলের আতুরঘর খ্যাত কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অংশ নেয় কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক ৪ শিক্ষার্থী ও বর্তমান দুই শিক্ষার্থীসহ মোট ৬ নারী ফুটবলার। তারা হলেন, শামসুন নাহার সিনিয়র, শামসুন নাহার জুনিয়র, তহুড়া, সানজিদা, শিউলী আজীম ও মারিয়া মান্ডা। টুর্নামেন্টে তহুরা ভুটানের সাথে তিন গোল, ভারতের সাথে দুই গোল ও শামসুনাহার জুনিয়র ১ গোল দিয়েছেন। ফাইনাল খেলায় অংশ নিয়েছে কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের ৫ নারী ফুটবলার। তবে, ফাইনাল খেলায় সানজিদা ছাড়া ৫ জন অংশগ্রহণ করেছে।
কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে মিষ্টি বিতরণের সময় সাথী, রুজিনা, সাদিয়া, আফরোজা, মল্লিকা হাসিনা ও জীমসহ ৩৪ ক্ষুদে নারী ফুটবলার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের ফুটবল কন্যাদের মা খ্যাত অধ্যাপক মালা রানী সরকার, ফুটবল কোচ জুয়েল মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কোচ জুয়েল মিয়া বলেন, টানা দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এতে দেশবাসীসহ কলসিন্দুরবাসী আনন্দিত।
কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের ফুটবল কন্যাদের মা খ্যাত অধ্যাপক মালা রানী সরকার বলেন, কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের নারী ফুটবল দলের শুরু থেকেই আমি ছিলাম, এখনোও আছি। এবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলায় কলসিন্দুর স্কুল এন্ড কলেজের ৬ নারী ফুলবলার অংশগ্রহণ করেছে। এতে কলসিন্দুরবাসী যেমন খুশি, সারা দেশবাসীও তেমন খুশি ও আনন্দিত। আমরা প্রত্যাশা করি নারী ফুটবলার তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখবে এবং দেশবাসীকে এভাবে সবসময় আনন্দিত রাখবে।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) শেখ তাকিত আজমল বলেন, ইতিমধ্যে বিষয়টি অবগত হয়ে তাদের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে পরর্বতী করনিয় ঠিক করা হবে।