নিজ কর্মস্থল কিশোরগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যেতে চাইছিলেন ইজিবাইকে করে। একই ইজিবাইকে চড়ে মাদরাসা শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের বহনকারী ইজিবাইকটিকে চাপা দেয় বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী এম,কে সুপার নামের একটি বাস।.
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাদরাসা শিক্ষক সাইফুল ইসলাম (৩৭)। আহত অন্যদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর ও ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে নববধূ বৃষ্টি আক্তার (২২) মারা যান। আহত আরেক স্কুলছাত্রী সানজিদা ইসলামকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইলের মুশল্লী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের অপর পাশে গিয়ে ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে দুমড়েমুচড়ে যায় বাইকটি। এতে ইজিবাইকে থাকা মাদরাসাশিক্ষক সাইফুল ইসলাম (৩৭) ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় দুই নারীসহ আরো চারজন আহত হয়েছেন।
নিহত সাইফুল ইসলামের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইল বাড়ি ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামে বলে জানা গেছে। তিনি নান্দাইল উপজেলার চপই দাখিল মাদরাসার ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন। অপর দুই নারী যাত্রী বৃষ্টি আক্তার ও সানজিদা ইসলামের বাড়ি নান্দাইলের ধরগাঁও গ্রামে। বৃষ্টি আক্তারের ১০ দিন আগে বিয়ে হয়। তিনি কিশোরগঞ্জের বেসরকারি একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন।
প্রতিদিন তিনি বাড়ি থেকে ইজিবাইকযোগে কর্মস্থলে যেতেন। আর আহত সানজিদা স্থানীয় মুশল্লী বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। আহত অন্য দুজনের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।
নিহত মাদরাসা শিক্ষকের সহকর্মী মো. মঞ্জিল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, তিনি প্রতিদিন বাইসাইকেলে করে বাড়ি থেকে নান্দাইল চৌরাস্তা পর্যন্ত আসতেন। সেখানে পরিচিতজনের কাছে সাইকেলটি রেখে ইজিবাইকে করে কর্মস্থলে যেতেন। যাতায়াতের সমস্যার কারণে তিনি কিশোরগঞ্জ শহরে বাসা ভাড়া করেছিলেন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর বাসায় ওঠার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। এ ধরনের মৃত্যু মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর।
নান্দাইল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউর রহমান জানান, বাস ও দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ইজিবাইকটি আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।