বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
যে তরুণেরা শহীদ জিয়ার আদর্শে দীক্ষিত, তাদের কণ্ঠ কখনো স্তব্ধ হয় না, আতিক ময়মনসিংহে ভূয়া ভিসা ও ভূয়া বিমানের টিকেট করে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব এ.টি.এম আজহারের বেকসুর খালাসে ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের শুকরানা নামাজ ও দোয়া মাহফিল ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন-সিজন ২২ উপলক্ষ্যে আবদুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ এর সারাদিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন ত্রিশালে স্টিয়ারিং কমিটির কার্যক্রম স্থায়ীত্বশীল করার উপর গুরুত্বারোপ অপ্রতিরোধ্য মাদক কারবারি ও ভূমিদস্যুকে আটক করেছে কচাকাটা থানার পুলিশ কটিয়াদীর মসূয়াতে অস্কার বিজয়ী সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে ঐতিহ্যবাহী মেলা ময়মনসিংহে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস পালিত কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ

বিদ্যুতের দাম আরও বাড়াতে চায় বিইআরসি, গণশুনানি আজ

অবারিত বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট : রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১০৬ বার পড়া হয়েছে

বাণিজ্যিকের পর এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। এ পর্যায়ে ১৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। এ বিষয়ে রোববার (৮ জানুয়ারি) বিইআরসির গণশুনানি করার কথা রয়েছে।

দেশে গত ১৪ বছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৯ বার। এসময়ে পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও গ্রাহক পর্যায়ে ৯০ শতাংশ বাড়ে বিদ্যুতের দাম। সর্বশেষ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তখন খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছিল ৫.৩ শতাংশ।

বিইআরসি সূত্র জানায়, আজকের গণশুনানিতে মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী পর্যালোচনা শেষে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে বিদ্যুতের নতুন দাম ঘোষণা করবে বিইআরসি।

এর আগে, গত ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ১৯.৯২ শতাংশ বাড়িয়েছিলো বিইআরসি। নতুন দাম ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। ওই বাড়তি দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোক্তা পর্যায়েও দাম বাড়ানোর আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা।

তাদের আবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের পর খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। গত দুই বছরে বিভিন্ন খাতে খরচ বেড়েছে। এছাড়া এখন পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর কারণে একটা ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। এই ঘাটতি পূরণে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির বিকল্প নেই।

আবেদনে বলা হয়, গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে তাদের ওপরে বাড়তি খরচের চাপ পড়বে না।

গত দফায় পাইকারি দাম বৃদ্ধির ঘোষণার দুই দিন পরেই ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর আবেদন করে বিদ্যুৎ উয়ন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এর এক সপ্তাহের মধ্যে অন্য পাঁচ বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিও দাম বাড়ানোর আবেদন করে। এসব আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করে বিইআরসি। যে কমিটি বিতরণ সংস্থাগুলোর আবেদন যাচাইবাছাই করে গ্রাহক পর্যায়ে প্রতি ইউনিটে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করে। যার ওপরে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশের সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের সব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত দাম বিদ্যুৎ কেনে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর তারা উৎপাদন খরচের চেয়ে কিছুটা কম দামে ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কাছে বিক্রি করে। ঘাটতি মেটাতে পিডিবি সরকারের কাছ থেকে এ খাতে ভর্তুকি নেয়। তবে এক্ষেত্রে বিতরণ সংস্থাগুলো কোনো ধরনের ভর্তুকি পায় না।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন