বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের চরম দুর্দিনে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত গণবিরোধী এবং অবিবেচনা প্রসূত।’
বিদ্যুতের মূল্য প্রতি ইউনিটে ১৯ পয়সা বাড়ানোর ২৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমাসে বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিমাসে দাম সমন্বয়ের নামে প্রকারান্তরে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির করা হবে, যা জনগণের সাথে খুচরা চালাকি মাত্র।’
বিদ্যুতের মূল্য কমনোর দাবিতে আগামী ১৬ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে মহানগর ও উপজেলায় সমাবেশ-মিছিলে জনসাধারণসহ দরের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের অংশ গ্রহনের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ সকল দ্রব্য মূল্যের চরম ঊধর্বগতিতে জনজীবনে যখন নাভিশ্বাস উঠেছে, জনগণের জীবন যাত্রায় ব্যয় যখন লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষ যখন কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছে, মানুষের যখন কর্মসংস্থান নেই তখন বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত মরার ওপরে খাড়ার ঘা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মাত্র দুই মাস আগে পাইকারি পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির পর এবার খুচরা তথা গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষি সেচে, কল-কারখানার উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধিসহ জীবন যাত্রার ব্যয় এবং প্রতিটি জিনিসের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে।’
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুত সেক্টারে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল দিতে হচ্ছে জনগাণকে। কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই বসিয়ে রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ক্ষমতাসীনদের মদদপুষ্ঠ মালিকদেরকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে জনগণের টাকায় লাভবান করা হচ্ছে। দুর্নীতি, অপচয়, অব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে।’