বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের নির্বাচন: সভাপতি আব্দুল আউয়াল, সম্পাদক আতাউর রহমান বিরাজনীতিকরণ নাকি রাজনৈতিক সংস্কার-প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি ময়মনসিংহে প্রথমবাবের মতো ভিনদেশী লিলিয়াম ফুলের চাষ ঈশ্বরগঞ্জে ইউএনওর বদলি প্রত্যাহারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধীদের মানববন্ধন বাকৃবির নতুন সিন্ডিকেট কমিটি সদস্য বিনার মহাপরিচালক বইলর-ধানীখোলা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা’য়াতের উদ্যোগে ইসলামী মহাসম্মেলন নারীর প্রতি সবধরনের নির্যাতন বন্ধ করে শান্তি ও  নিরাপত্তার জন্য সকলে মিলে সর্বত্র কাজ করতে হবে আত্মোন্নতির জন্য পরিশ্রম ও উদ্যমের কোনো বিকল্প নেই গোটা কুরআন আমাদের কর্মসূচি এটা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

বিরাজনীতিকরণ নাকি রাজনৈতিক সংস্কার-প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি

কৃষিবিদ মো: আতিকুর রহমান
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২১ বার পড়া হয়েছে

ডিসেম্বর মাস আমাদের জাতীয়, রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল দিন। এ বছর ১৬ ডিসেম্বর ৫৪ তম বিজয় দিবস উদযাপিত হল। মহান স্বাধীনতার ঘোষক এবং বাংলাদেশের প্রথম বৈধ রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া জনমানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাগণের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে সকল স্বাধীনতা সংগ্রামী, শহীদ, বীরাঙ্গনা মাতা এবং সকল মুক্তিকামী, গণতন্ত্রকামী, ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র জনতার প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম ও বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
প্রকাশ্য রাজনীতি নাকি আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিকস “বিরাজনীতিকরণ নাকি রাজনৈতিক সংস্কার-প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি” শিরোনামে তৃতীয় কিস্তির মূল বিষয়-বিগত ১৫ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে শহীদ জিয়ার আদর্শের কর্মীদের ত্যাগ ও নির্যাতন ভোগের সারসংক্ষেপ এবং বিএনপি’র গঠনতন্ত্রের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব-নিরাপত্তা-রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা রক্ষা এবং রাজনৈতিক গোপন সংগঠনের তৎপরতা বন্ধকরণ বিষয়ক নীতির আলোকে ছাত্রদলের প্রত্যয় এবং ছাত্র রাজনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যত। কিন্তু যেহেতু ইতোমধ্যে ১ম এবং ২য় পর্বের কলামের পর ৩য় পর্বের লেখা শুরুর অন্তর্বর্তী সময়ে দেশের রাজনৈতিক এবং আইন অঙ্গনে দৃশ্যমান, আলোচিত এবং তাৎপর্যপূর্ণ বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে গেছে-যা অন্য আর দশজন সচেতন নাগরিকের মনোজগতের মত এসব বিষয়ের একজন পাঠক এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমারও মনোজগতে স্বাভাবিকভাবে সাড়া ফেলেছে, তাই লেখার কলেবর বৃদ্ধি না করে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ের অবতারণা করতে চাই।
২১ নভেম্বর ২০২৪, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি’র চেয়ারপারসন এবং তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির ২৬ নেতাকে সেনাকুঞ্জে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ২০১২ সালের পর এই প্রথম সেনাকুঞ্জে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হল। বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি স্বাধীনতার ঘোষক এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরোত্তম খেতাব প্রাপ্ত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী। বিগত আওয়ামী সরকার নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতানাধারী হিসেবে ভাঙ্গা টেপরেকর্ডার বাজালেও একজন বীরোত্তমের সহধর্মিনী এবং তাঁর পরিবারকে কোনরূপ সম্মান দেওয়া তো দূরে থাক-শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ার কারণে হেন কোন ঘৃণ্য কাজ নাই যে তাঁর ও তাঁর পরিবারের সাথে করা হয়নি। যে দুর্বিনীত আচরণের মাধ্যমে তাঁকে নিজগৃহ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছিল তা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে জঘন্যতম প্রতিহিংসা পরায়ন আচরণ হিসেবে জনমনে চিরকাল থেকে যাবে। ’২৪ এর ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে হাসিনার পতন ও পলায়নের পর কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে দেশব্যাপী রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সুচিন্তা ও সভ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতির সুবাতাস বইছে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে দেশের স্বার্থে যে ঐক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপস্থিতি তারই উৎকৃষ্টতম উদাহরণ। উক্ত অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনসহ বিএনপি’র নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানোয় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের একজন কর্মী হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং মান্যবর সেনা প্রধানকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন না করলে নিজের আদর্শের প্রতি সুবিচার করা হবে না বলেই মনে করি।
গত ২৫ নভেম্বর সোমবার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ বা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস (ইসকন)-এর বাংলাদেশ অংশের নেতা এবং সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ঢাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম হতে যতটুকু জানা যায় তাতে দেখা যায় যে, পরদিন মঙ্গলবার তাকে চট্রগ্রামের আদালতে নেওয়া হলে আদালত চিন্ময় দাসের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার সমর্থক ও অনুসারীরা প্রথমে আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বিক্ষোভ করে এবং তৎপরবর্তীতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে আদালত প্রাঙ্গণসহ আশপাশের এলাকার শান্তি ও জনশৃঙ্ক্ষলা বিনষ্টকর কর্মকান্ড চালায়। এ সময় চিন্ময় দাসের সমর্থক ও অনুসারীদের কর্মকান্ডের প্রভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম আদালতের একজন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন। চিন্ময় দাস বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নিকট কতটুকু সুপরিচিত, কোন সময় থেকে এদেশের আপামর জনমানুষের নিকট পরিচিতি লাভ করেছেন তা রাজনীতি সচেতন মানুষ মাত্রই অবগত। ৫ আগস্টের ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর সাধারণ মানুষের নিকট তাঁর পরিচিতি এবং তাঁর এজেন্ডা খোলাসা হয়েছে। অতিসম্প্রতি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার প্রকাশিত বক্তব্যে এটা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনতত্ত্বের ভারতীয় কার্ড খেলে হাসিনা এবং তার পতিত ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করাই চিন্ময় গংয়ের প্রধানতম লক্ষ্য। আর নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফরা পতিত ফ্যাসিবাদের দোসরদের মরণকামড়ের শিকার। নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে এ ঘটনার আরও বিস্তৃত স্বরূপ উন্মোচিত হবে।
১ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিষয়ে পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফরমায়েশি বিচারিক আদালতের রায় এবং রাজনৈতিক তল্পিবাহক পুলিশ কর্মকর্তার বিধিবহির্ভূত, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সম্পূরক অভিযোগপত্রের আইনগত দিক বিচার বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা এবং ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার স্বরূপ দায়েরকৃত এ মামলা হতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ সকল দন্ডিত ব্যাক্তিবর্গকে খালাস প্রদান করেন। বাংলাদেশের বিচারাঙ্গনের ইতিহাসে এটি একটি ঐতিহাসিক রায় এবং এ দিনটি একটি উজ্জলতম দিন হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।
যে কোন আলোচনায় ’৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে ভারত প্রেমীরা ভুল করে না কখনও। বিগত দেড় দশকে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং উন্নয়নের ঘুম পাড়ানী গান শুনিয়ে জাতিকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে অর্থপাচার, ব্যাংক লুট, রাতের আধারে ব্যালট বাক্স ভরে নির্বাচনে জেতা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জেতা ব্যক্তিদেরকে নিয়ে নির্লজ্জের মত সংসদ গঠন করলেও ভারতের ক্রমবর্ধমান দাদাগিরির বিরুদ্ধে একটি টু শব্দও করতে শুনা যায়নি হাসিনা ও তার দোসরদের। দেশপ্রেমিক ও গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষের মনেই এমন ভাবনার উদয় হতে বাধ্য যে, বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনামলে ইন্ডিয়ার কায়েমী স্বার্থবাদীতা যে ভাবে বাংলাদেশের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে ভারত কেন্দ্রীক ও ভারতমুখী একটা পোলারাইজড দক্ষিণ এশিয়া গঠন করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল ৫ আগস্ট ভারতীয় দোসর হাসিনার পতনের পর ভারতের মোহ ভঙ্গ হয়েছে। এর ফলে হাসিনার পতনের অব্যবহিত পরবর্তী মুহূর্ত হতেই ভারত সরকারের তাবেদার মিডিয়া এদেশের সরকার এবং জনগণের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচারে লিপ্ত আছে। এ অপপ্রচারে যুক্ত হয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি। এমনকি পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, তা ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভেরিফায়েড ফেইসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেছেন। তাঁর এ ফেইসবুক পোস্ট নেহায়েত কোন সাধারণ বিষয় হিসেবে উপেক্ষা করার সুযোগ নাই। একটি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবোউজ্জ্বল অর্জনকে অন্য একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাবলিকলি নিজেদের বলে দাবী করা আন্তর্জাতিক রাজনীতির শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং বিশ্বরাজনীতির ইতিহাসে তা নজির বিহীন। মোদির এই মনোভাব বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভারত রাষ্ট্রের মনোভাবকে প্রকাশ করেছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশকে নিজেদের একটি অঙ্গরাজ্য মনে করে যে ভাবে এ দেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, নিজ দেশের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির উপরও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ভারতের এমন আচরণ এ দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমিক বৈ অন্য কিছু নয়। বাংলাদেশের প্রতি, বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভারতের এ মনোভাব এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের বিজয় নিয়ে মোদির বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
উল্লিখিত ঘটনাসমূহ বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একদিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার আমন্ত্রণ পাওয়া ও শারিরীক অসুস্থতা সত্ত্বেও তার সরব উপস্থিতি এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মিথ্যা অভিযোগ হতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুসহ সকল দন্ডিত ব্যাক্তির খালাস প্রাপ্তি দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি’র বিগত দেড় দশকের অব্যাহত সংগ্রামের বিজয়ের পরিচায়ক। অন্যদিকে শেখ হাসিনার পতনের পর ‘মোদী সরকার ও তার গদি মিডিয়ার’ আহাজারি, চিন্ময় প্রভু গংদের দ্বারা নৈরাজ্য সৃষ্টির দেশ বিরোধী আওয়ামী চক্রান্ত এবং ভারতের আধিপত্যবাদী রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার বহির্ভূত কার্যক্রমকে প্রতিহত করতে হলে রাজনৈতিক ঐক্য, বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ ভিত্তিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক দূরদর্শীতার আবশ্যকতার দিকেই ইঙ্গিত বহন করে।
পতিত স্বৈরাচার হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে যতবারই দেশের রাজনীতি, গণতন্ত্র এবং অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে কাল নাগিনীর ন্যায় ছোবলে বিষাক্ত করে জনজীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে ততবারই বিএনপি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং গণতন্ত্ৰ সুরক্ষিত করার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছে। ভারতের উপনিবেশিক আচরণ ও আধিপত্যবাদ এবং সর্বোপরি হাসিনার স্বৈরশাসনকে প্রশ্ন করায় গুম, খুন, হামলা, মামলার শিকার হয়েছে বিএনপি’র অগণিত নেতা-কর্মী। বিবিসি বাংলা অনলাইন সংস্করণ এবং দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত তথ্য হতে দেখা যায় যে, ২০০৯ সাল হতে ২০২৩ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত সময়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচার হাসিনার সরকার মোট ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭১ টি মামলা দায়ের করেছে। আওয়ামী স্বৈরশাসক দ্বারা দায়েরকৃত এসব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় ৪০ লাখের ওপরে নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। ভিন্নমত দমনের লক্ষ্যে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোন কোন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৪৫০ টিরও অধিক মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলার মেরিট বা আইনগত ভিত্তি কতটুকু তা ১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে মহামান্য হাইকোর্টের দেওয়া বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় থেকেই বুঝা যায়। কিন্তু এত নিপীড়ন-মামলা-হামলার পরও বিএনপির নেতা-কর্মীরা দমে যায়নি। বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ফ্যাসিবাদ বিরোধী এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দেড় দশকের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই ’২৪ এর গণঅভ্যূত্থানের পটভূমী রচিত হয়েছে-একথা নি:সন্দেহে বলা যায়। কারণ হাসিনার স্বৈরশাসনের বিগত ১৫ বছরে বিএনপি’র মত ত্যাগ অন্য কোন রাজনৈতিক দল করেনি। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলা যায় অন্য কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকেই এত গণহারে মামলা ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়নি। বিগত দেড় দশকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের জন্য যে বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল, দেশের মানুষকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার পরম আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেমের আদর্শই কেবল এমন বৈরী পরিবেশে রাজনীতি করার সাহস জুগিয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হৃদয়ে। দেশপ্রেম ও জনআকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা চির জাগ্রত থাকুক-বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদের আদর্শে দীক্ষিত একজন সামান্য কর্মী হিসেবে এ প্রত্যাশাই হৃদয়ে লালন করি।
সকল শ্রেণী-পেশা, সকল ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল বাংলাদেশীকে নিয়ে ‘বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ’ প্রতিষ্ঠা, ‘বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ’ ভিত্তিক ‘ইস্পাতকঠিন গণঐক্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা ও গণতন্ত্ৰ সুরক্ষিত ও সুসংহতকরণ’, ‘ঐক্যবদ্ধ এবং পুনরুজ্জীবিত জাতিকে অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ, নয়া উপনিবেশবাদ, আধিপত্যবাদ ও বহিরাক্রমণ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা’ প্রভৃতি গঠনতন্ত্রিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারণের জন্য একটি কল্যাণকর, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে বিএনপি নেতৃত্ব সদা জাগ্রত ছিল এবং থাকবে। আর ঠিক এ কারণেই শুধু ভারত নয়-যে কোন দেশের তাবেদারী করাই বিএনপির স্বভাব বিরুদ্ধ।
বিগত সময়ে দেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হানাহানি, দলবাজি, টেন্ডারবাজি, হল দখল, সিট বাণিজ্যসহ নানান অপকর্মে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীদের নাম জড়িয়ে গেছে ভয়াভহভাবে। এর দায় একক কোন সংগঠনের না হলেও বিগত ২০০৯ থেকে ২০২৪ এর গণঅভ্যূত্থানের পূর্ব পর্যন্ত সময়ে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের বদৌলতে যে হারে এসব কর্মকান্ড ঘটেছে, যে ভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তাদের শাখা সংগঠনগুলোর সন্ত্রাসীদের নাম পত্রিকার শিরোনাম হয়েছে-তা অতীতের যে কোন সময়ের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। এসব অপকর্মের দায় ঐ সংগঠনের সদস্যদের পাশাপাশি তাদের মূল দল এবং সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসনকে নিতেই হবে। কারণ এ সময়ে শত প্রতিকূলতার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালসমূহে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনসমূহের কর্মীরা বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় ইস্যুতে রাজনৈতিক কর্মসূচী পালন করলেও হলে অবস্থান তো দূরে থাক ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও হাসিনার তাবেদার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোর অপতৎপড়তায় অপরাপর ছাত্র সংগঠনগুলো পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্যাম্পাসেও ঢুকতে বেগ পেতে হয়েছে, কোথাও কোথাও ক্যাম্পাসেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি ভিন্নমত পোষণকারী ছাত্র সংগঠনের কর্মীদেরকে। ছাত্র রাজনীতির ঐতিহ্য বিনষ্টকারী সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন ও তাবেদার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোর অপকর্মের দায় গণতন্ত্রকামী ও শান্তিপ্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলোর উপর চাপিয়ে দেওয়ার কৌশল হিসেবে অত্যন্ত সুকৌশলে গণঅভ্যূত্থান উত্তর সময়ে প্রায় কোন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে তুয়াক্কা না করে দেশের প্রথম সারির উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সংগঠন ভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করা হয়েছে। এতে যুগপৎভাবে দু’টি উদ্দেশ্য হাসিল হয়েছে-এক. সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক অতীতের অপকর্মের উদাহরণ টেনে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ বা বন্ধকরণের মাধ্যমে অন্যান্য প্রগতিশীল, গণতন্ত্রকামী ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র সংগঠকেও ছাত্রলীগের সাথে তুলনা করা হয়েছে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে প্রচ্ছন্নভাবে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও হাসিনার তাবেদার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোর বিচারিক দায়মুক্তী দেওয়া হয়েছে। দুই. শিক্ষা জীবনে তথা কৈশোর-যৌবনে আদর্শ ভিত্তিক রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তরুণরা সম্পৃক্ত হয়ে রাজনৈতিক মেধা, অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা অর্জন করে আজকের তরুণ শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে এবং রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখার যে বন্দোবস্ত ও অপার সম্ভাবনা ছিল, তার পথরুদ্ধ করা হয়েছে। এতে সারাজীবন রাষ্ট্রের বেতন নিয়ে চলা আমলা, জনগণের জমানো টাকা থেকে বিভিন্ন ধরণের রিবেটসহ লোন নিয়ে ব্যবসা করে পুঁজিপতি হওয়াদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করা হয়েছে। আর যা হয়েছে, তা হল সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে গোপনে নানান অজুহাতে কারও কারও রাজনীতি করার পথ সুগম করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন গুলো হয়ত ভুলেই গিয়েছিল যে, প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক নেতৃত্ব বই পড়ে তৈরী হয় না- হঠাৎ করেই কোন রাজনৈতিক কর্মী গড়ে উঠে না। অনেক চড়াই-উৎড়াই পাড়ি দিয়ে একজন রাজনৈতিক কর্মী তৈরী হয়। কাগজে-কলমে ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য রাজনীতি বন্ধ করতে পারলেও, যারা প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সাহস রাখে না তারা তাদের স্বভাব মতে আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিকসের পথ বেছে নিয়ে নানান বেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে মিশে গোপন রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত হয়।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব-নিরাপত্তা-রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা রক্ষার নিমিত্ত প্রয়োজনে প্রাণোৎসর্গ করার মূলমন্ত্র যেমন বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মন-মস্তিস্ক-হদয়ে তথা মননে প্রোথিত আছে, ঠিক তেমনই রাজনৈতিক গোপন সংগঠনের তৎপরতা এবং কোনো সশস্ত্র ক্যাডার, দল বা এজেন্সি গঠনে অস্বীকৃতি জানানো ও তার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করার দীক্ষালাভ এবং সে মতে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবন পরিচালনা করা শহীদ জিয়ার আদর্শের প্রতিটি ছাত্রদল কর্মীরই পাথেয়। তাই ছাত্রদল কর্মী মাত্রই সপ্রতীভ এবং তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড মাত্রই প্রকাশ্য। এ কারণে বিগত দেড় দশকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচলানা করে লক্ষাধিক মামলার শিকার হওয়া, জনপ্রতি শতাধিক মামলার আসামী হওয়া, প্রতি মুহূর্তে হামলা শিকার হওয়া, আপন জনের গুম হওয়া সত্ত্বেও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব-নিরাপত্তা রক্ষার দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে প্রতিটি ছাত্রদল কর্মী আজও গণতন্ত্রের অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে টিকে আছে। প্রকাশ্য রাজনীতির যে স্পিরিট সেই স্পিরিট থেকে বলা যায় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকগণ অতিমাত্রায় সুশীল না হয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক মতের প্রতিনিধিগণের সাথে বসে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির কাঠামোগত সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নিতে পারত। তা না করে বিরাজনীতিকরণ আর অতিরাজনীতিকরণের মাঝে যে মধ্যমপন্থা ছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সে ভাবনা থেকে বিচ্যূত হয়েছে বলেই ছাত্র রাজনীতির কাঠামোগত রাজনৈতিক সংস্কারের দিকে মনোনীবেশ না করে বিরাজনীতিকরণের পথে হেঁটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাবান শিক্ষকমন্ডলীর দূরদৃষ্টির অভাব আছে কিনা ভেবে দেখারও অবকাশ আছে বৈকি। না হলে কলমের এক খোঁচায় ছাত্র রাজনীতি নিশিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের মত ভয়ংকর উদ্যোগ নিতে তারা হয়ত দুই বার ভাবত।
বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ, বৈষম্যহীন, সাম্য, সমতা ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয়ে দেশপ্রেমী সকল রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তি ও সংগঠন, দেশ বরেণ্য ওলামাগণসহ বাংলাদেশকে হৃদয়ে ধারণ করে এমন সকল মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ আছে। সকল প্রকার দেশি-বিদেশি অপপ্রচার ও অপতৎপড়তার বিরুদ্ধে দেশপ্রেমীক নাগরিকগণ অভিন্ন ইস্যুতে একই সুরে কথা বলছে। রাজনৈতিক ঐক্যের এমন মুহূর্তে অতীতের নিজ নিজ সকল ভুলের দায় স্বীকার করে নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করে একটি পরিশিলিত রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলার আদর্শ সময় অতিবাহিত হচ্ছে এখন। এমন সময় দেশের শিক্ষিত তরুণদেরকে রাজনীতি বিমুখ করার যে কোন উদ্যোগ থেকে বিরত থেকে তাদেরকে সুষ্ঠু ও সভ্য ধারার রাজনৈতিক চর্চায় যুক্ত করতে না পারলে দেশের রাজনীতিতে নিকট ভবিষ্যতে আবারও ব্যুরোক্রেটিক টেকনোক্রেটরা আধিপত্য বিস্তার করবে বলে আশংকা করি। এমন আশংকা প্রকাশ্য রাজনীতিতে বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক কর্মীর মনেই বিরাজ করছে। এ আশংকা দূরীভূত করতে দায়িত্বশীলদের টনক নড়বে কি?

 

কৃষিবিদ মো: আতিকুর রহমান
শিক্ষার্থী মাস্টার্স ১ম সেমিস্টার, ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, বাকৃবি
এবং
আহবায়ক
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন