বিশ্বের আটশ কোটি মানুষ জমকালো আয়োজনে বরণ করে নিলো নতুন বছর, ২০২৩ সালকে। ঘড়ির কাঁটার সেকেন্ড ১২-তে পৌঁছা মাত্রই রঙিন আলোয় ভরে ওঠে আকাশ। ফানুস আর আতশবাজিতে মেতে ওঠে সবাই।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র টোঙ্গা, সামোয়া ও কিরিবাসে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর প্রথম অনুষ্ঠান শুরু হয়। পৃথিবীর একেক প্রান্তে ঘড়ির কাঁটা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মধ্যরাত স্পর্শ করার মাধ্যমে শুরু হয় ২০২৩ সালে ১ জানুয়ারি। সে হিসেবে সবার আগে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ কিরিবাস।
এরপর ২০২৩ সালকে স্বাগত জানানো হয় নিউজিল্যান্ডে। এ সময় অকল্যান্ড শহরে স্কাই টাওয়ার থেকে আতশবাজি পোড়ানো শুরু হয়। বর্ষবরণের এই অনুষ্ঠান দেখতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন সেখানে।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার এলাকা ক্লক টাওয়ারে অবস্থিত সুবিশাল ঘণ্টার নাম হলো বিগ বেন। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই বেজে ওঠে বিগ বেন। এসময় প্রয়াত রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গান ফায়ার করা হয়।
এডিনবার্গে, শহরের বিশ্ববিখ্যাত হোগমানে পার্টিতে অংশ নিতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। তিন বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ফিরে এসেছে এ উৎসব।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজ এলাকায় ১০ মিনিট ধরে আতশবাজি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড মহামারির জন্য অস্ট্রেলিয়ায় এর আগের দুবছরে অনাড়ম্বরভাবে নতুন বছর উদযাপন হয়েছিল ।
রাশিয়া ও ইউক্রেনে বর্ষবরণ উদযাপনের তেমন আয়োজন ছিল না এবার। তবে ইউক্রেন ২০২৩ সালে লড়াই চালিয়ে যাবে এবং যেকোনো কিছুর জন্য প্রস্তুত আছে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। নববর্ষের আগে দেওয়া ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, এটি হবে প্রত্যাবর্তনের বছর।
কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম বহু দেশে করোনায় মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঠিক এ সময়ে করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে চীনে। চীনের সরকার জিরো কোভিড পলিসি শিথিল করার পরপরই হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। সুতরাং নববর্ষ উদযাপনের তেমন কোনো আয়োজন ছিল না চীনেরও। তবুও ছোট পরিসরে হলেও বিভিন্ন শহরে থেমে নেই বর্ষবরণের উৎসব।
এ ছাড়া বিশ্বের আরও অনেক দেশেই নানা আয়োজনে বরণ করা হয় ২০২৩ সালকে।
সূত্র: বিবিসি