“আমরা দাঁড়াবো মানবতায় অসহায়দের শক্তিতে, স্বেচ্ছায় সৎশিক্ষা শান্তিতে থাকিবো কল্যাণের অস্তিত্বে”
প্রতিপাদ্যে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘তৃণমূল রক্তদান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ এর ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গতকাল (২০ সেপ্টম্বর) বুধবার সংগঠনটির ৪র্থ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে বিকেলে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়ন বাজার প্রাঙ্গণে এর প্রধান কার্যালয়ে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এতে ‘তৃণমূল রক্তদান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সমন্বয়ক মিলাদুন রশিদ ফকিরের সভাপতিত্বে এবং কার্যনির্বাহী সদস্য মেহেদী হাসান মারুফের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বিন্দু হুমায়ূন খান, জাকির মোল্লা ,মোশাররফ হোসেন,কাজল মিয়া ,শাকিল আহম্মেদ, ফিরহাদ চৌধুরী, রাসেল মাহমুদ , মোজাম্মেল হোসেন ,মাজাহারুল ইসলাম, আলমগীর কবির, রাজন মিয়া, মাহমুদুল হাসান মেহেদী, সারোয়ার জাহান রোমন , রেজাউল করীম, শাহীন আলম,আর.টি হৃদয়, মুস্তাকিম , আনারুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, আলিউল্লাহ সজিব,জনি, আন্না আক্তার, সাবিনা ইয়াসমিন,তারজিন
মীমসহ সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, গ্রামের কিছু তরুণ যুবকদের নিয়ে ২০২০ সালের ২০ সেপ্টম্বর সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়।
মানবিক কাজের মধ্যেদিয়ে ইতোমধ্যে দীর্ঘ তিন বছরের পথচলায় নানান ভাবে অসহায়দের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি। বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে মাদ্রাসায় এতিম এবং গরিব মেধাবী ছাত্রদের মাঝে কোরআন শরীফ বিতরণ, অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, ঈদ উপহার সামগ্রী , অসহায় সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের আর্থিকভাবে নানান সহায়তা , সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান এবং সমাজের সকল জনসচেতনতা মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে ‘তৃণমূল রক্তদান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ নামে স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি।
তৃণমূল রক্তদান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সমন্বয়ক মিলাদুন রশিদ ফকির জানান, ইতোমধ্যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬ হাজারেরও বেশি মানুষের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছেন তাঁরা। এ ছাড়াও প্রতিনিয়ত সারা বাংলাদেশে ৮ থেকে ১০ ব্যাগ করে স্বেচ্ছায় রক্তদান করে থাকেন ‘ তৃণমূল রক্তদান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’। এ অবস্থায় গত ৩ বছরে প্রায় আড়াই হাজারেরও বেশি ব্যাগ রক্তদান করতে সক্ষম হয়েছে সংগঠনটি। রক্তদান কার্যক্রম স্বেচ্ছাসেবীদের নিজস্ব অর্থায়নই হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের মাধ্যমে সংগঠনটির মানবিক কাজের সুনাম এবং কার্যক্রম পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরবে বলে প্রত্যাশী করছি।’