বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় কৃষিবিদ্যুৎ অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রচারণা চালিয়েছে বেসরকারি সংস্থা অন্যচিত্র ফাউন্ডেশন, ক্লিন ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ইডএঊউ)।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ সদরের চর ঈশ্বরদিয়া এলাকায় একটি ফসলের মাঠে প্লেকার্ড, ব্যানার ও ফেষ্টুন হাতে এই ব্যাতিক্রমী প্রচার অভিযান চালানো হয়। আয়োজকরা জানান, কৃষি বিদ্যুত শুধু কৃষি ও বিদ্যুতের সমন্বয় নয়, এটি বাংলাদেশের সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের পথ খুলে দিবে। চরাঞ্চল ও অনাবাদী জমিতে কৃষিবিদ্যুত প্রকল্প চালু হলে তা স্থানীয় কর্মসংস্থান বাড়াবে, নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে এবং কার্বন নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।
অন্যচিত্র ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেবেকা সুলতানা বলেন, অ্যাগ্রিভোলটাইকস শুধু কৃষি ও বিদ্যুতের সমন্বয় নয়, এটি বাংলাদেশের সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের পথ খুলে দিচ্ছে। কৃষক যদি একই জমি থেকে খাদ্য ও শক্তি দুটোই উৎপাদন করতে পারেন, তাহলে তা তাদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং জাতীয় পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDGs) অর্জনে সহায়ক হবে।
ফোরাম অন ইকোলজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট-এর সদস্য সচিব মোস্তফা মোঃ খায়রুল আলম তুহিন বলেন, অ্যাগ্রিভোলটাইকস আমাদের কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। এটি শুধু নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নয়, বরং খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু সহনশীলতা এবং গ্রামীণ অর্থনীতির পুনর্জাগরণের একটি সমন্বিত পথ। সরকার দ্রুত নীতিগত স্বীকৃতি দিলে কৃষকরা এই পরিবর্তনের অগ্রদূত হয়ে উঠবেন।
সাংবাদিক অমিত রায় বলেন,এই উদ্যোগ কেবল প্রযুক্তিগত নয়, এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের বার্তা দেয়। কৃষকদের জীবিকা, জমি ও শক্তি উৎপাদনের মধ্যে যে সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে, তা টেকসই উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। গণমাধ্যমের দায়িত্ব এই ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
আস্থা প্রকল্পের সমন্বয়ক ইমন সরকার বলেন, আমরা চাই কৃষকরা শুধু ফসল উৎপাদক নয়, বরং শক্তি উৎপাদক হিসেবেও নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করুক। চরাঞ্চল ও অনাবাদী জমিতে অ্যাগ্রিভোলটাইকস প্রকল্প চালু হলে তা স্থানীয় কর্মসংস্থান বাড়াবে, নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে এবং কার্বন নিরপেক্ষ বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।
প্রচারণায় সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, কৃষক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।