বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাকৃবি শাখার উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিনি সম্মেলন কক্ষে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দিন, হাওর ও চড় উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, ঈশা খাঁ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জিয়াউল হক, শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান। বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সদস্য-সচিব মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম শোয়াইব, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং বাকৃবি শাখা ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।
আলোচনায় বক্তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান, দেশপ্রেম, নেতৃত্বগুণ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অসামান্য ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তারা বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের প্রথম ঘোষিত স্বাধীনতার ঘোষক, যিনি দেশকে একটি স্বনির্ভর ও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন।”
এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, শহীদ জিয়া ছিলেন কেবল একজন সেনানায়ক বা প্রেসিডেন্ট নন, তিনি ছিলেন এক রাষ্ট্রদর্শনের জন্মদাতা। তার হাত ধরে জন্ম নিয়েছিল আত্মমর্যাদাশীল, কর্মনির্ভর ও স্বপ্নমুখী এক বাংলাদেশ। তাঁর দর্শন ছিল স্পষ্ট “রাষ্ট্র হবে জনগণের, ক্ষমতা হবে জনতার, অর্থনীতি হবে আত্মনির্ভরশীল, আর নেতৃত্বে থাকবে দেশপ্রেম।” সেই রাষ্ট্র আজ লুণ্ঠিত, গণতন্ত্র আজ রুদ্ধ, আর নেতৃত্ব আজ দুর্নীতির দখলে।
আজকের এই দিনে আমরা কেবল তাঁকে স্মরণ করি না, বরং দৃঢ়চিত্তে ঘোষণা করি—আমরা সেই আদর্শের উত্তরাধিকার, যে আদর্শ কখনো বন্দী হয় না, কখনো নত হয় না। শহীদ জিয়া যেদিন ইতিহাসের রক্তাক্ত পটে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, সেদিন তিনি একাই একটি জাতির আত্মপরিচয়ের দাবিতে দাঁড়িয়েছিলেন। আজ সেই আত্মপরিচয় আবার হুমকির মুখে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বিশ্বাস করে—যে তরুণেরা শহীদ জিয়ার আদর্শে দীক্ষিত, তাদের কণ্ঠ কখনো স্তব্ধ হয় না, তাদের পথ কখনো থেমে থাকে না। আমাদের লড়াই কেবল রাজপথের নয়—আমাদের লড়াই হচ্ছে স্মৃতি ও স্বপ্নের, শেকড় ও ভবিষ্যতের।
পরিশেষে, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতির রূহের মাগফিরাত কামনা করি এবং এই শপথ নেই—এই শোষণ-দুঃশাসনের অন্ধকারে আমরাই হব আলোর বহ্নিশিখা, আমরাই হব জিয়ার অসমাপ্ত স্বপ্নের উত্তরসূরি।