‘ক্যান্সারে আক্রান্ত ভাইকে বাঁচাতে বোনের আকুতি’ শিরোনামে দৈনিক আজকালের খবরে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর। সংবাদ প্রকাশের পর হাড় ক্যান্সারে আক্রান্ত সেই জুনায়িদুর রহমানের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনতার ঈশ্বরগঞ্জ। পাশাপাশি জনতার ঈশ্বরগঞ্জকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে আমার জন্মভূমি নামক অপর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ।
বুধবার ( ২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের চরপুম্বাইল গ্রামের হাড় ক্যান্সারে আক্রান্ত জুনায়িদুর রহমানের বাবার হাতে নগদ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করেন সংগঠনের সদস্যরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জনতার ঈশ্বরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মোঃ এহসানুল হক, সংগঠনটির এডমিন ইসহাক মিয়া, মডারেটর সুমন ফকির,আল আমিন, ইমন সরকার প্রমুখ। হাড় ক্যান্সারে আক্রান্ত জুনায়িদুর(১৬) ওই গ্রামের ছেলে সাইদুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়,জুনায়িদুর রহমানের বাম পায়ে হাড় ক্যান্সার ধরা পড়েছিল বিগত ৬ মাস আগে। পরে সারা শরীরে যাতে ক্যান্সার ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তার একটি পা কেটে ফেলে দিতে হয়েছিলো। সে ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। এবছর তার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা। অসুস্থতার কারণে গত চারমাস আগে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে গেছে জুনায়িদের। দীর্ঘদিন যাবৎ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তারপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ১ মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন জুনায়িদুর। বর্তমানে সে বাড়িতে রয়েছে। সব হারিয়ে পরিবারের পক্ষে যখন এ ব্যায়বহু চিকিৎসা আর করানো সম্ভব হচ্ছিল না, ঠিক তখনই দৈনিক আজকালের খবরে প্রকাশিত সংবাদটি দেখে তার পাশে দাঁড়ায় জনতার ঈশ্বরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এজন্য জনতার ঈশ্বরগঞ্জ ও আমার জন্মভূমি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জুনায়িদের বাবা সাইদুর রহমান বলেন, আপনাদের সবাইকে আল্লাহ পাক বাঁচিয়ে রাখতে রাখুন। আমার ছেলেকে বাঁচাতে সকলের সহযোগিতা চাই।
এবিষয়ে জানতার ঈশ্বরগঞ্জ গ্রুপের এডমিন সাংবাদিক ইসহাক মিয়া জানান, আমাদের জনতার ঈশ্বরগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সব সময় চেষ্টা করে সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে। ক্যান্সার আক্রান্ত জুনায়িদুর ও তার পরিবারের বিষয়টি জানতে পেরে আমারা অল্প সময়ের মধ্যে চেষ্টা করেছি পরিবারটির পাশে দাড়ানোর জন্য। তিনি আরও জানান, এলাকার অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সামর্থবান মানবিক মানুষেরা যদি আরও সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে জুনায়িদুর পেতে পারে সুস্থ ও সুন্দর একটি জীবন। আবার ফিরে যেতে পারবে বই,খাতা ও ব্যাগ কাঁধে নিয়ে তার পাঠশালায়।