টানা তিন বছর ধুঁকতে থাকার পর ২০২৩ সালেও ধীরগতিতে এগোবে গাড়ির ব্যবসা। এসময় নতুন গাড়ি বিক্রি এক শতাংশ বাড়তে পারে। কিন্তু সেটি হবে ২০১৯ সালের ১৪ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। করোনাভাইরাস মহামারিতে বাণিজ্যিক গাড়ি বিক্রি খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও নতুন বছরে সেটি আরও কমবে।
সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে। তবে চিপের ঘাটতি কেটে যেতে পারে। জ্বালানি ঘাটতি ও এর উচ্চমূল্য অটোমোবাইল খাতে বড় প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে ইউরোপে।
মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তাদের আয় ও সঞ্চয় আরও কমবে। এর ফলে গাড়ি প্রস্তুতকারীরা তাদের ক্রমবর্ধমান ব্যয় ক্রেতাদের কাছ থেকে তুলে নিতে হিমশিম খাবে। তাতে কমে যাবে মুনাফাও।
এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রির হারও প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়বে না। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী এ ধরনের গাড়ি বিক্রি দ্বিগুণ হয়েছে। তবে ২০২৩ সালে এর পরিমাণ ২৫ শতাংশ বাড়তে পারে। অর্থাৎ, নতুন বছরে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হতে পারে ১ কোটি ৮ লাখ ইউনিট, যা মোট বিক্রিত নতুন গাড়ির মাত্র ২০ শতাংশ।
২০২৩ সালে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হবে চীনে। চাহিদা কমে যাওয়ার ভয়ে সম্প্রতি কর ছাড় বাতিলের পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে এসেছে দেশটি। নতুন বছরে জীবাশ্ম-জ্বালানির গাড়িতে বিশ্বের কঠোরতম নির্গমন মানদণ্ড আরোপ করবে চীন।
ভর্তুকি কমানোর ফলে জার্মানিতে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি কমে যাবে৷ তবে দীর্ঘমেয়াদে পরিস্থিতি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় ২০২৩ সালে আরও বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি বাজারে ছাড়বেন নির্মাতারা।
টেসলার বিলম্বিত সাইবারট্রাক অথবা বিএমডব্লিউ, হুন্দাইসহ অন্য কোম্পানিগুলোর বৈদ্যুতিক স্পোর্ট-ইউটিলিটি গাড়ির নতুন মডেলগুলো আরও ভারী হবে।
চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের রাস্তায় নামবে রোবোট্যাক্সি। দুটি জার্মান শহরে ‘লেভেল ফোর’ স্বয়ংক্রিয় গাড়ির ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে। এ ধরনের গাড়িতে মানবচালকের প্রয়োজন নেই বললেই চলে।
নজর থাকবে ড্রোনের দিকেও। ভক্সওয়াগেন চায়না শহরের ধনী ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে যাত্রীবাহী ড্রোন বা উড়ন্ত ট্যাক্সির প্রোটোটাইপ পরীক্ষা করবে। বিদ্যুৎচালিত এসব আকাশযান উল্লম্ব উড্ডয়ন-অবতরণ এবং চারজন যাত্রী বহনে সক্ষম হতে পারে।