শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঈশ্বরগঞ্জে ছাত্রদলের বিক্ষোভ ময়মনসিংহে স্বামীকে হত্যায় পরকিয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদের ’শিক্ষক সম্মেলন-২০২৪’ অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌর জামায়াতের কর্মী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের সাংগঠনিক থানা শাখার আমীরগণের শপথ অনুষ্ঠান ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকান্ড, হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ইন্ট্রাকো এলপিজি’র কটিয়াদির জালালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের দাওয়াতী জনসভা অনুষ্ঠিত আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাচ্ছেন যেটা কখনোই সম্ভব নয়- প্রিন্স ‘হোন্ডা মোবাইল টিমে’ তৎপর পুলিশ

৩০ ডিসেম্বর ঘিরে বিএনপিতে হামলা-মামলার শঙ্কা

অবারিত বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৭৪১ বার পড়া হয়েছে

অনেক আশঙ্কার মধ্যেও গত ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের গ্রেফতারেও থেমে থাকেনি সমাবেশ। ৩০ ডিসেম্বর সেই ঢাকায় আবার গণমিছিল কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। জেলা পর্যায়ের গণমিছিল খুব সুখকর ছিল না। ঢাকার কর্মসূচি ঘিরে তাই হামলা-মামলার আতঙ্কে কাটাচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা। তবে যত বাধাই আসুক যে কোনো কৌশলে এই গণমিছিল সফলভাবে শেষ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি।

দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, গণমিছিল কর্মসূচির আগে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজমকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়েছে। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার জন্যই হত্যা করা হয়েছে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদ আরেফীনকে।

বিএনপির দপ্তর সূত্র জানায়, গত দুই মাসে সাড়ে তিনশোর অধিক মামলায় প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। নিহত হয়েছেন ১৫ জন।

সূত্রমতে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেফতারের পর নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। গ্রেফতার এড়াতে কেন্দ্রীয় এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা রয়েছেন আত্মগোপনে। অনেকেই নিজ বাসায় রাতযাপন করছেন না।

বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, তেল-গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচিতে এর আগে ১৫ জন নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ গণমিছিল কর্মসূচিতে এলোপাতাড়ি মারধর ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিনকে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় গণমিছিল চলাকালে অন্তত ৬০ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, চার ধাপে আমাদের নেতৃত্বের শ্রেণিবিন্যাস হয়েছে। গ্রেফতার করেও নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি করা যাবে না। মামলা বাড়ছে। তা চলবে। কিন্তু মামলাই শেষ কথা নয়। মামলাকে আইনিভাবে মোকাবিলা করবো।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে যায় তখন গ্রেফতার তো স্বাভাবিক ঘটনা। তখন টপ লেভেলের নেতাদের গ্রেফতারে তৃণমূল আরও জেগে ওঠে। আইয়ুব খানের সময় তাই দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের মহাদুর্যোগের সময় আমেনা বেগম নামে এক সাধারণ নারী দল পরিচালনা করেছেন। সংগঠিত সংগঠনে নেতৃত্ব সংকট তৈরি করা কঠিন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে, যা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ চিন্তা করতে পারে না। অফিসে লুটপাট ও তছনছ করেছে। প্রায় সাড়ে চারশো নেতাকর্মীকে একসঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঢাকাসহ সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল। গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। রাস্তায় অবরোধ ও পরিবহন ধর্মঘট করেছে। ৯ জনের বেশি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তবুও কিন্তু আমাদের বিভাগীয় ও ঢাকার গণসমাবেশ পণ্ড করতে পারেনি। বরং জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।

এই নেতা আরও বলেন, আজ মানুষ মাঠে নেমেছে। ২৪ ডিসেম্বর পুলিশ সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে। পঞ্চগড়ে আবদুর রশিদ নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবুও কিন্তু গণমিছিল ঠেকাতে পারেনি। ইনশাআল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল সফল হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন