প্রতিবেশীর ধান ক্ষেতে হাঁসের দল নেমে ক্ষতি করার অভিযোগে ৪টি হাঁস পিটিয়ে হত্যা ও ৫৬টি হাঁস লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন এক খামারি। গত মঙ্গলবার দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই খামারি। এমন ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের উচাখিলা গ্রামে।
থানায় দেওয়া অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. লিটন মিয়া (৩৫) একজন হাঁস পালনকারী।
তার বাড়ির পাশে ৬০টি হাঁস নিয়ে একটি খামার রয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে হাঁসগুলো ছেড়ে দিলে প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা হওয়ার পরও খামারে ফিরে যায়নি।
খামারি লিটন মিয়া জানান, এ অবস্থায় অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পাওয়ায় পাশের একটি জঙ্গলের পাশে চারটি হাঁসকে মৃত দেখা যায়। পরে খোঁজ নিলে জানতে পারেন প্রতিবেশী মোজাম্মেল ও সুলতানের যৌথভাবে চাষ করা ক্ষেতে হাঁসের দল নামে।
এ সময় দুজন মিলে হাঁসের দলকে ধাওয়া করে। পরে লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকলে চারটি মারা যায় আর বাকি হাঁসগুলোকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় চারটি মৃত হাঁস বাড়িতে নিয়ে আসলেও বাকি ৫৬টি হাঁসের কোনো সন্ধান পাননি। তার ধারণা ওই হাঁসগুলো মোজাম্মেল ও সুলতান লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, তিনি গরিব মানুষ। ধারদেনা করে ছোট একটা হাঁসের খামার দিয়েছেন। এতে ছোটবড় হাঁস রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০টি হাঁস প্রতিদিন ডিম পাড়ে। তা বিক্রি করে তিনি হাঁসের খাবারের খরচ ছাড়াও সংসারের খরচ মিটান। এখন হাঁস হারিয়ে পথে বসেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। তবে তাদের পরিবারের লোকজন জানায়, লিটনের হাঁস এসে তাদের ফসলি জমির ক্ষতি করে। কিন্তু হাঁস মারা ও নিখোঁজের ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি পীরজাদা মোস্তাছিনুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে তিনি একজন কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।