দীর্ঘদিন সংস্কৃতির হালচাল দেখছি
ব্রহ্মপুত্রের উর্বর জমি আজ নিরস বিরানভূমি
সংস্কৃতির পদ্মবিলে ফুটেছে কত কাঁটাযুক্ত অপসংস্কৃতির ফসিল।
চারিদিকে পদ নামক আপদের দুর্দান্ত বেচাকেনা
চলছে চন্দ্র কুমারের রাজ্যে।
এখন ওস্তাদের শেষ নাই।
এখন রাজনীতি, সমাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতির বিরাট মাঠে চলছে পেটনীতির অসুখ।
এখন সবাই কবি,সবাই নেতা,সবাই সবকিছু।
কবিতার “ক” তে যিনি নেই তিনি কবি।
অর্থের বিনিময়ে চলে নেতৃত্বের পদায়ন।
হঠাৎ করেই মঞ্চে অধিষ্ঠিত নামধারী কবি
তিনি নাকি সংস্কৃতজন।
দীর্ঘদিনের এই পদাপদের দুরন্তপনায় আমরা আহত।
আমরা লজ্জিত সাধারণ জনতা।
আমরা মুক্তি চাই এই অসুখ লালসার হাত থেকে।
জয়নুলের কাশফুল আবারো ফুটুক আপন মহিমায়
শামসুদ্দিন আবুল কালামের কাশবনের কন্যার সিথানে পড়ুক সোনার কাঠি,যাদুর কাঠি।
কৈলাশের ব্রহ্মপুত্রের ফেলে আসা সুদিন ফিরে আসুক দীনেশ বাবুর সুখ্যাতির পরগনায়।
আমরা ফিরে যাই এক ওস্তাদের পদতলে অগণিত শিষ্য
রোমাঞ্চিত, আবেগতাড়িত হই প্রেমময় শিক্ষকের সুনিবিড় ছায়তলে।
আমরা ফিরে যাই জালাল খাঁ,আব্দুল মজিদ তালুকদার, উকিল মুন্সি,,শাহ আব্দুল করিম ,হাসন রাজা সহ অসংখ্য গুণীজন যাঁরা নাটেরকোণার বাহিরচাপড়া গ্রামের একজন বাউল রশীদ উদ্দিনের ছায়াতলে দীক্ষা নিয়েছিলেন।
আমরা সংস্কৃতির সুদিন সুখেন্দ্র বাবুর ফিরাগমন চাই
আমরা ফিরে যেতে চাই আবুল মনসুরের যুগে,
ফিরে যেতে চাই
যতীন সরকার, গোলাম সামদানী কোরায়শী,খালেকদাদ চৌধুরী, খগেশ কিরণ,আনিসুর রহমান, আমীর আহম্মেদ চৌধুরী রতন স্যার সহ অসংখ্য সুজনের সুখের স্মৃতিতে।
আমরা সবার মাঝে নিজেকে প্রকাশ করি চলুন আপন মহিমায়।
আমরা কবি হতে চাই।
আমরা গল্পকার হতে চাই।
আমরা ঔপন্যাসিক হতে চাই।
আমরা লেখক হতে চাই।
চলুন,,,,,,
আমরা বিরুদ্ধ বিভেদ ভুলে যাই।
আমরা অতীতের সুখস্মৃতির অতলে ডুবে ভুলে যাই
ব্রহ্মপুত্র পাড়ের সাময়িক দুঃখ।
লেখনীর জোয়ারে
সংস্কৃতির চারণভূমি হয়ে উঠুক কবিতার অগ্রহায়ণ।
আমরা ভুলে যাই সব দুঃখময় বিস্মৃতি।
প্রিয় সুজন, স্বজন সিনিয়র।
আমরা আছি আমরা থাকবো আমরা সবাই সবার
তোমরা জাগিয়ে তোল জং পড়া ঐ কলম হাতিয়ার।