ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার আধপাকিয়া গ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে লিমিয়িাম ফুলের চাষ হওয়ায় বেশ আগ্রহ জেগেছে ফুল প্রেমীদের মাঝে। প্রতিদিন ফুলের বাগানটি দেখতে আসছেন দর্শনার্থীরা।
আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা পারভিন ফুলের বাগানটি পরিদর্শন করেন।
শীত প্রধান দেশগুলোতে সাদা, হলুদ, কমলা, গোলাপী, লাল ও বেগুনী বর্ণের লিলিয়াম ফুল দেখা যায়। লিলিয়াম ফুলের বর্ণচ্ছটা অনেকটা চিত্রের মতো। দেখতে কোন শিল্পী তার তুলি দিয়ে ফুলের গায়ে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে। এ জাতের ফুলে ছয়টি পাঁপড়ি থাকে যারা বেশ প্রসারিত হয়।
ফুল চাষি মহর আলী পরীক্ষামূলকভাবে এই জাতের ফুল চাষ করে সফল হওয়ায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা পারভিন, ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. জহুরুল ইসলাম, আরএম এমদাদুল হক, টিডিএস ম্যানেজার একেএম খাইরুল করিব, ডেপুটি ম্যানেজার এমএস মজিদ, টিএস মো. নায়িমুল ইসলাম সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা পারভিন বলেন, মহর আলী একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি পরীক্ষামূলকভাবে লিলিয়াম ফুল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। মহর আলী সহ মুক্তাগাছার আগ্রহী কৃষকদের আমরা সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার চেষ্টা করবো।
ফুল চাষি মহর আলী বলেন, বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান লাল তীর লিমিটেডের সহযোগিতায় নেদারল্যান্ডের থেকে নিয়ে আসা বীজ আমার নিজের দুই একর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করি। মাত্র ৩৪ দিনেই হারভেস্টে চলে আসে। এতে আমি খুব খুশি। অল্প সময়ের মধ্যে লাভজনক ফুলের চাষ আগামীতে আরও বেশী পরিমাণে জমিতে লিলিয়াম ফুল চাষ করার ইচ্ছা আছে।
ডিভিশনাল ম্যানেজার মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, লিলিয়াম ফুল বর্ণ-বৈচিত্র্য ও সুগন্ধের কারণে বাংলাদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা জানি আমাদের দেশে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের চাহিদা বাড়ছে। তাই আমাদের মনের খোরাক মেটানোর উদ্দেশ্যে লাল তীর লিমিটেড অতি অল্প সময়ের মধ্যে এ ফুল উৎপাদন ও লাভজনক শিল্পটি নিয়ে এসেছেন। আমরা বাণিজ্যিকভাবে এ ফুল চাষে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
বাগান দেখতে ফুল প্রেমী আব্দুল মতিন বলেন, আমি এর আগে এমন ফুল কোথাও দেখিনি। আমি খুবই আনন্দিত। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমার দাবি এই ফুল চাষে যেন কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়।