ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি কাহিল হয়ে পড়েছে গবাদিপশু। বিশেষ করে গ্রামের স্বল্প আয়ের গরিব ও শ্রমজীবী মানুষেরা বেশি কষ্টে পড়েছে। শীতে কষ্ট পাচ্ছে গবাদি পশুরাও।
গত দুই সপ্তাহ ধরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হিমেল হাওয়া ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশাপশি গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়ছেন খামারিসহ প্রান্তিক কৃষকরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় বলছে, এমন প্রতিকূল আবহাওয়ায় গবাদিপশুর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, গত কয়েকদিন কুয়াশা কিছুটা কমলেও, বাতাস ও ঠাণ্ডার প্রকোপ কমেনি। গত কয়েকদিন ধরে অল্পসময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল হাওয়া ও কনকনে শীতে ঠাণ্ডার প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষায় গবাদিপশুগুলোকে পুরনো কাঁথাকম্বল, ছালার চট, পুরনো জামা এবং যার যা আছে তাই দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া গ্রামের কৃষক আজিজুল হক জানান, প্রচণ্ড শীত সেই সাথে ঠাণ্ডা বাতাসে গরু-ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে শীতের হাত থেকে বাঁচতে গরুর গায়ে চট দিয়েছি। ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার শিমরাইল গ্রামের কৃষক মাজহারুল ইসলাম জানান, এই শীতে মানুষের যেমন কষ্ট হয় তার থেকে বেশি কষ্ট হয়েছে গরু বাছুরের। আমরা তো ঠাণ্ডা লাগলে বলতে পারি কিন্তু ওরা তো বলতে পারে না। তাই ছালার চট তাদের গায়ে দিয়েছি।
পৌর বাজারে গবাদিপশুর ওষুধ বিক্রেতা রাফা মেডিকেল হলের মালিক বলেন, প্রচণ্ড শীতে গরুর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তবে আগের বছরের তুলনায় এবছর গবাদিপশুর রোগ-বালাই কম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ আবু হানিফ এ বিষয়ে বলেন, ঠাণ্ডায় গবাদিপশুর নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।তবে ঈশ্বরগঞ্জে গবাদিপশুর ঠান্ডা জনিত রোগ বালাই তেমন বেশি নয়। বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ঠান্ডা জনিত রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি গবাদিপশুকে শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে গরম কাপড় ও দানাদার খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।