হের ঈশ্বরগঞ্জে তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সাকুয়া গ্রামে আব্দুর রাজ্জাক খান (৭০) এর ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার করছিলেন তার স্ত্রী। গত শুক্রবার রাতে তিনি নিজ ঘরের আঁড়ার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
জানা যায়, ৩ যুগের অধিক সময় ধরে সে কোণাপাড়া বাজারে চা-বিক্রি করে আসছিলো। ইতোমধ্যে তার চোখে অসুখ দেখা দেওয়ায় চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় লোকদের আর্থিক সহায়তায় চোখের অপারেশন করেন। অপারেশনের পরে নিয়মিত ঔষধ সেবন না করায় তার চোখের ব্যাথা আরো তীব্র আকার ধারণ করে। এতে সে মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ফাঁস নেন বলে স্থানীয়দের ধারনা।
ঘটনার দিন স্ত্রী ছাড়া পরিবারের আর কেউ বাড়িতে ছিলো না। সেহেরির সময় স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ভয়ে চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজন এসে জড়ো হয়।
ওই ইউপি চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রানা জানান, একমাস পূর্বে তার চোখের অপারেশনের জন্য আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ১২ হাজার ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করে দিয়েছি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাছিনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর একটি মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।