ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও তিন জন। রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই যুবক। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাদি হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের জাটিয়া সরকারপাড়া গ্রামের দুই ভাই আব্দুল খালেক ও আব্দুল আলী। তাদের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এদিকে আব্দুল আলীর কোনো সন্তান না থাকায় স্ত্রীর নামে সব সম্পত্তি লিখে দেন। সেই সম্পত্তি দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে সঠিকভাবে বন্টন না হলেও আব্দুল আলী নিজের স্ত্রীকে জমি লিখে দেওয়ায় ভাই আব্দুল খালেকের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সম্পত্তি মাপামাপি করে বুঝে নেওয়ার জন্য আব্দুল আলীকে বড় ভাই আবদুল খালেকের ছেলেরা বললেও তা মাপামাপি করছিলেন না। উল্টো আব্দুল আলী নিজের শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিয়ে জমি দখলে রাখেন। এদিকে রোববার সকালে ওই জমিতে ধান কাটতে যান আব্দুল আলীর স্ত্রীর ভাই ইসলাম উদ্দিন ও তার লোকজন। এসময় নিজেদের জমি থেকে ধান কাটতে দেখে নিষেধ করেন আব্দুল খালেকের ছেলে রুবেল মিয়া (২৬)। রুবেল ধান কাটতে নিষেধ করলে তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করা হয়। এসময় তাকে রক্ষা করতে গিয়ে ভাই আবু হানিফা, আব্দুস সোবহান ও রাকিবুল ইসলামও আহত হন। পরে পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুবেলের মৃত্যু হয়। এঘটনায় রোববার রাতে নিহতের বড় ভাই বাদি হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেই মামলার একজন আসামিকে আটক করে পুলিশ।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ধান কাটা নিয়ে হামলার ঘটনায় আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের অভিযান চলছে।