বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের মজলিসে শূরার প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকান্ড, হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ইন্ট্রাকো এলপিজি’র কটিয়াদির জালালপুর ইউনিয়ন জামায়াতের দাওয়াতী জনসভা অনুষ্ঠিত আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হতে চাচ্ছেন যেটা কখনোই সম্ভব নয়- প্রিন্স ‘হোন্ডা মোবাইল টিমে’ তৎপর পুলিশ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচিতে জনতার ঢল গৌরীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালি কটিয়াদী জামায়াতের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ফুলবাড়ীয়ায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত সঞ্চয়ের নেশাই আমাদের জীবনের অশান্তির মূল কারণ

আগামীদিনের বাংলাদেশ হবে জামায়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ- এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

আব্দুল বারী, ময়মনসিংহ সংবাদদাতা
  • আপডেট : রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে
এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে জনগণ জামায়াতে ইসলামীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামীদিনের বাংলাদেশ হবে জামাতয়াতে ইসলামীর বাংলাদেশ। দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত নেই এমন কোন দল নেই। বিগত সময়ে জামায়াতের নেতারা যে মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন কোন দুর্নীতি খুঁজে পায়নি। এই কারণে বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। অন্যান্য দলের জনগণ নেতাদের ভোট দিয়ে মনোনীত করার পর আর তাদের কাছে যেতে পারে না। এই জন্য বর্তমান সময়ে সাধারণ জনগণ জামায়াতের সংস্পর্শে আসছে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ময়মনসিংহ জেলা শাখার রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা জামায়াতের আমীর মোঃ আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে সেক্রেটারী মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, সারাবিশ্বে মানুষ এখন ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। ইসলাম নিয়ে কোন ধরনের বাড়াবাড়ি করা যাবে না। পৃথিবীতে কোন কট্টর মতবাদ যদি থাকে তাহলে সেটি হলো সেকুলারিজম। ইসলামে এমন দৃষ্টান্ত নেই। আমাদের ইসলামকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। পরাজিত দল আওয়ামী লীগের নেত্রীসহ নেতারা পালিয়েছে। তাদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনালর গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বিচার করা হবে। আমাদের নিজেদের হাতে আইন তুলে নেয়া যাবে। আওয়ামী লীগের আমলের প্রশাসন সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না, তা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রতীয়মান হয়েছে। তাদের বিষয়েও বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর একটা ভালো ইমেজ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে মধ্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিসে বিভিন্ন দেশের এম্বাসেডর এসে যোগাযোগ করছেন। সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে। রুকন ভাইদের প্রতি আহ্বান আপনারা গণজাগরণ তৈরি করেন। আমাদেরকে ৫০ শতাংশ জনগণের কাছে পোঁছতে হবে। ভারতে সকল ষড়যন্ত্র রুখতে আমাদের ব্যাপক হারে জনশক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। কমপক্ষে দশ কোটি জনশক্তি তৈরি করতে হবে। দশ কোটি জনশক্তি তৈরি করতে পারলে আগামী দিনের নির্বাচন হবে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন। নারীদের সাংগঠনিক কাজে সময় দান অনেক ভালো। আমাদের বোনরা ময়মনসিংহের মাটিতে কাজের যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন তা প্রংশসনীয়। আমাদের সকলের বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করতে হবে। ব্যাপক হারে দাওয়াতী কাজ করতে হবে। টিসি টিএস সহ সকল ধরনের প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রত্যেকটি এলাকায় সামাজিক কাজ করতে হবে। রাস্তাঘাট মেরাম, বৃক্ষরোপণ, চিকিৎসা সেবা সহ নানা ধরনের সামাজিক কাজ করতে হবে। এসব কাজের মাধ্যমে গণবিপ্লব তৈরি করতে হবে। সম্মিলিত প্রয়াশের মাধ্যমে দাওয়াতী কাজ করতে হবে। আমাদের চেষ্টা থাকবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক ড. সামীউল হক ফারুকী বলেন, আমরা যে বিজয়ের জন্য কাজ করছি, সেটি হলো আল্লাহর সাহায্যে দ্বীনের বিজয়। এই আমাদেরকে একটি প্রকৃত বিজয়ের দ্বার উন্মোচন করে দিয়েছে। আমাদের বিজয়টিকে কাজে লাগানোর জন্য কাজ করতে হবে।
সকল মতবাদের উপর দ্বীনকে বিজয়ী করার বিজয়, আমাদের বিজয়। আমরা জবরদস্তি করে দ্বীন কায়েম করতে চাই না, আমরা গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দ্বীন কায়েম করতে চাই এদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে জামায়াতে ইসলামীর সাথে মিশে দ্বীন কায়েমের কাজ করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী জনসমর্থন বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করতে হবে। আমাদের নৈতিক মান বৃদ্ধি করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর লোকদের চরিত্রবান হতে হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও অঞ্চল টিম সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মহান আন্দোলেনে আমাদের টার্গেট আল্লাহহর সন্তুষ্টি অর্জন। আমি যদি আমার আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পারি তাহলে আমি সফল। যে একটি বিপ্লবী আন্দোলনের সাথে আল্লাহ আমাদের সংঘটিত করেছেন, আমরা জ্ঞানের বিপ্লব ছাড়া এই আন্দোলন সফল করতে পারবো না। দুনিয়াকে আমরা আঁকড়ে ধরে আছি কিনা সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমরা এখন থেকে পরিকল্পিতভাবে এক বছরের কাজের প্ল্যান করে নিবো। রুকনদের পরিকল্পিতভাবে কাজ করার জন্য পরামর্শ দেন। এই বাংলাদেশকে পরিচালনা করার দায়িত্ব যদি আল্লাহ তায়ালা দেন, আমাদেরকে সে আঙ্গিকে নিজের প্রস্তুত করতে হবে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বইঠার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার পথ হারিয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।

মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল বলেন,
আমাদের প্রত্যেক সেক্টর ভিত্তিক কাজ করতে হবে। শপথের আলোকে কাজ করতে হবে। লোকজনদের সাথে মিশে শপথের উপযোগী জনশক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। কোন কাজ যেন নিজের জন্য না, আমাদের সকল কাজ যেন সংগঠন সম্প্রসারণের জন্য হয়।

রুকন সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন
ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর কামরুল হাসান মিলন, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর আসাদুজ্জামান সোহেল, সেক্রেটারি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ কায়সার, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট মাহবুবুর রশিদ ফরাজী, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সভাপতি ডাঃ শাহাব উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য,
থানা শাখার আমীর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন