মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ময়মনসিংহে খাওয়া দাওয়া ফাউন্ডেশনের প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের নবীন বরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টস এন্ড বিজনেসমেন ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে বর্নাঢ্য আয়োজনে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত নতুন রেজিস্ট্রারের দক্ষতায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক জটিলতা এখন শূন্যের কোঠায়, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা প্রবাসীর হারিয়ে যাওয়া আইফোন ও স্বর্ণালঙ্কারের ব্যাগ ফেরত দিলেন বাকৃবি শিক্ষার্থী তথ্য অধিকার আইন মানছে না গৌরীপুরের পিআইও, সংবাদকর্মীদের ক্ষোভ-অসন্তোষ মাসে লাখ টাকা আয় করেন গৌরীপুরের তরুণ উদ্যোক্তা ইয়াসিন শাওন সমৃদ্ধ উলিপুর গড়ার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে ব্যারিস্টার মাহবুবুল আলম সালেহী’র মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১ হাজার শিক্ষার্থীকে সংবর্ধিত করল ইসলামী ছাত্রশিবির

আমার উপলব্ধিতে আমি- আ শ মামুন

আ শ মামুন
  • আপডেট : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪৭৫ বার পড়া হয়েছে
ছবি- ইন্টারনেট।
সেই কবে আমি আমার বোনের ছোট ভাই ছিলাম
বড় বোন যখন ক্লাস ওয়ানে তখন প্রায়ই বায়না করতাম আমিও সাথে যাব,
কারো কথাই শুনতে রাজি ছিলাম না।
যাবই যাব।
আজ সেই নিগুঢ় সত্যটি আবার দেখলাম আমি আ শ মামুনের প্রতিচ্ছবি আমাদের ছেলে আবু হুরাইরার মধ্যে।
বোন সিরাজামমুনিরাও যেন আমার পিঠাপিঠি বড় বোন রওশন আরা লাভলীর প্রক্সি দিচ্ছে।
আমি মুগ্ধ হলাম।
আমি জব্দ হলাম।
একটি কথাও বলার ছিলোনা।
বোন যখন নিজের দায়িত্ব নিজেই রাখতে পারতোনা
তখন আমার বায়না ছিলো একটা বিরাট বোঝা।
কিন্তু ভাইবোন বলে কথা।
যেন পৃথিবীর সমস্ত আহলাদ আর ভালোবাসা এই অবুঝ, অপরিপক্ক সহোদরদের মধ্যে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে আছে।
একটি স্বর্গীয় প্রেমের নিষ্পাপ হৃদয় পাগলপারা থাকতো দুটি জীবন।
জীবনের প্রতিটি ভাইবোন এমনি একটি গল্প, একটি অকাট্য ইতিহাস, একটি স্মৃতিময় আত্মজীবনী।
চল্লিশ বছরেরও অধিক সময়ের আগে আমি ফিরে গেলাম।
স্মৃতির ক্যামেরায় ধারণ করা ফটো ভাসছে আমার দিব্য চোখে।
স্মৃতির দূরবীক্ষণ যন্ত্র নিমিষেই আমার দু’চোখে কে যেন সেট করে দিয়ে গেলো।
হেমন্তের সেই আগুনপোড়া অগ্রহায়ণ আমাকে নিয়ে যায় সেই নির্ঘুম কল্পনার অতীতে।
আমি ‘থ’ হয়ে ভাবতে থাকি।
ভাইবোন আর প্রতিবেশী ছেলেমেয়েদের বালি আর ঝুনা নারকেলের শাস কুড়ানো ফেলনা
অংশ আর মাটির তৈরি নানান বাসনকোসন,বরকনের স্বরূপে পুতুল পুতুল বিয়ে আর টোলা ভাতি খেলা ছিলো এক অনন্য ঘরসংসার।
পৌসের বেলায় পিঠা পায়েসের গন্ধে আনন্দের তুফান বইতো।
কি ছিলোনা তখন।
আমি বারবার হারিয়ে যাই।
আমি বারবার আবেগতাড়িত হয়ে যাই।
আমি বৈশাখ, জৈষ্ঠ্য,আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র সব গুলিয়ে ফেলি আশ্বিন, কার্তিকের নদীর নেমে যাওয়া স্রোতের মত।
একসময় শীতের প্রকোপ বাড়লে কাঁথা মুড়ি দিয়ে জড়সড় হয়ে থাকা দিন ভুলে যাই।
সালু কাপড়ের উষার ছাড়া নতুন লেপে জড়িয়ে লুকোচুরি আর খুনসুটি চলতো নিত্যদিন।
এভাবে মাঘ চলে গিয়ে ফাগুন এলে কৃষ্ণচূড়ার ডালে রঙিন স্বপ্নের সামিয়ানা টানিয়ে চলত বসন্তের দিনগুলো।
কোন রমজানে একটি রোজা রাখলেও গর্ব হতো।
আর প্রথম রোজা,সবে কদরের রাতে কাঠি গুণে গুণে নামাজের রাকাত গুণা।
আর ঈদের চাঁদ দেখার নির্মল আনন্দ।
শেষমেশ চৈত্র এলে বাবার সাথে সাইডুলির ডোয়ারে অষ্টমীর স্নানের কথা ভাবি।
আমি আর দু’লাইন লিখতে পারছিনা।
আমার উপলব্ধিতে আমি বারবার মোর্চা যাচ্ছি।
আমি লিখতে গিয়ে শব্দ হারিয়ে ফেলছি।
সময় আমায় ক্ষমা করো।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন