বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রোগিদের হেনস্থাকারী চাঁদাবাজ দালাল চক্রের ৫ জন গ্রেফতার ন্যায়ের পথে হস্তক্ষেপ হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি শাপলা প্রতীক নিয়েই এনসিপি নির্বাচনে অংশ নিবে-সারজিস আলম সময় এসেছে তরুণদের কণ্ঠস্বরকে মূল্য দেওয়ার-অমিত রায় নভেম্বরের ভিতরেই গণভোটের আয়োজন করতে হবে-কামরুল আহসান এমরুল কুড়িগ্রামের উলিপুরে ফাজিল পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেন্যু স্থানান্তরে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা আদায়ের চেষ্টা করছি-ওয়াহাব আকন্দ আমরা এমন এক প্রজন্ম গড়ে তুলি যারা জ্ঞান, চরিত্র ও দায়িত্ববোধে উজ্জ্বল- আসিফ আব্দুল্লাহ ময়মনসিংহে পাঁচ দফা দাবিতে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের ত্যাগ-কোরবানী বাংলাদেশের জমিনকে উর্বর করেছে – মাও. আব্দুল হালিম

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে ১১ ব্যাগ ব্লাডসহ ১ (এক) বেসরকারি কর্মচারী আটক

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • আপডেট : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে ১১ (এগারো) ব্যাগ ব্লাড বাইরে নেওয়ার সময় এক বেসরকারি কর্মচারীকে গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে অন্যান্য স্টাফ ও চিকিৎসকের সহায়তায় আটক করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে পুনরায় ছেড়ে দেওয়া হয়। আটককৃত ব্যক্তির নাম সোনিয়া আক্তার শান্তা, পদবি– মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। তিনি সৌদি সিকিউরিটি সার্ভিসের মাধ্যমে ব্লাড ব্যাংকে বেসরকারিভাবে কর্মরত ছিলেন। তার স্থায়ী ঠিকানা ময়মনসিংহের গোরীপুর উপজেলায়।

জানা যায়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি প্রথমে গোপন রাখার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে বিষয়টি কতিপয় স্টাফের ও অন্যান্যদের মধ্যে প্রকাশ পেলে হাসপাতাল পরিচালক আটককৃতকে ব্লাড চুরির সাথে সম্পৃক্ত নারী স্টাফকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করার পাশাপাশি আরও স্বীকার করে যে, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের কাউন্টারে কর্মরত সরকারি স্টাফ সোহেল সহ আরও কয়েকজন ব্লাড চুরির সাথে জড়িত। এ সময় সরকারি স্টাফদের সম্পৃক্ততার তথ্য প্রমাণিত হলেও, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে শুধুমাত্র আটককৃত সোনিয়া আক্তার শান্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

প্রায় দুই মাস পূর্বেও একই হাসপাতালে ব্লাড চুরির ঘটনায় দুই বাহিরের ব্যক্তিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ কতৃক গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছিল।
তার কিছুদিন পর পুনরায় একই ধরনের ঘটনা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়ম সম্পর্কে হাসপাতাল প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে দুর্নীতিপরায়ণদের রক্ষা করা হয়েছে।

উক্ত ঘটনা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে চলমান দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার দৃষ্টান্ত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তা ও সেবার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সোনিয়া আক্তার শান্তা দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ অসাধু স্টাফদের সহায়তায় চুরি করে ব্লাড বাহিরের চক্রের কাছে বিক্রি করতেন।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন