ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের উচাখিলা বাজারে মরা ব্রয়লার মুরগির মাংস বিক্রির সময় হাবিব হাসান (২২) ও মো. হৃদয়(২২) নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে বুধবার রাত আটটার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন পল্লব বৈশ্য বাজারে আসেন। তিনি পাত্রে সাজিয়ে রাখা মুরগির মাংস মানুষের খাওয়ার অনুপযোগী বলে নিশ্চিত করেন। এরপর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিক্রেতা হাবিব হাসান ও হৃদয়কে কারাদণ্ড দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাজারে বিক্রির সময় বড় পাত্রে সাজিয়ে রাখা ও কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রাখা ৩৭ কেজি ব্রয়লার মুরগির মাংস জব্দ কর হয়েছে। জব্দকরা মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। বুধবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে উচাখিলা ইউনিয়নের উচাখিলা বাজারের শুটকি মহালে এসব মরা মুরগির মাংস জব্দ করা হয়েছে। আটকের আগে আরও ৩৩ কেজি মাংস বিক্রি করছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা হাবিব হাসান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে,আজ বাজারের সাপ্তাহিক হাট ছিল। হাটের শুটকি মহালে ব্রয়লার মুরগির মাংস কেটে পাত্রে সাজিয়ে বিক্রি করছিলেন দুজন বিক্রেতা। এ সময় মাংস থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে ক্রেতাদের মনে সন্দেহ জাগে। একপর্যায়ে হাটের লোকজন বিক্রেতা হাবিব হাসান ও হৃদয়কে আটক করেন। এ বাজারে বিগত দুইমাস ধরে মুরগির মাংস বিক্রি আসছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বিক্রেতা হাবিব হাসান বলেন, দেড় বছর ধরে আমি এ ব্যবসা করি।এই বাজারে দুই মাস যাবৎ বিক্রি করা শুরু করি। সাজা পাওয়ার পরে আর কখনও মরা মুরগির মাংস বিক্রি করবেন না বলেও জানিয়েছে এই বিক্রেতা।
হাটে আসা কয়েক ব্যক্তি বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় একশ্রেণির বিক্রেতা এসব মুরগির মাংস কেটে পাত্রে সাজিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছেন। কিন্তু মুরগিগুলো কখন কাটা হয়েছে বা আদৌ জীবিত মুরগি কাটা হয়েছে কি না, তা কেউ জানেন না।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, মাংস বিক্রেতার স্বীকারোক্তি পাওয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।