২৩ জুলাই ২০২৫ খ্রি.কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে- কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী থানাধীন হাসনাবাদ ইউনিয়নের চচলারপাড় এলকা থেকে ১৫ কেজি গাঁজাসহ মোছাঃ শিউলী বেগম (৩৮) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম।
বুধবার (২৩ জুলাই ২০২৫ খ্রি.) সকাল আনুমানিক ০৬:১৫ ঘটিকায় নাগেশ্বরী থানাধীন হাসনাবাদ ইউনিয়নের চচলারপাড় গ্রামস্থ গ্রেফতারকৃত আসামি শিউলী বেগম এর নিজ বসতবাড়ি থেকে ১৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।
নাগেশ্বরী থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোরে মাদক উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে নাগেশ্বরী থানার একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে নাগেশ্বরী থানাধীন হাসনাবাদ ইউনিয়নের চচলারপাড় এলাকায় কতিপয় মাদক কারবারি নিজ বসতবাড়িতে গাঁজা বিক্রি করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে উক্তস্থানে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ মাদক কারবারি মোছাঃ শিউলী বেগম (৩৮) কে হাতেনাতে গ্রেফতার করে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ওসি ডিবি মোঃ বজলার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ মাদকদ্রব্য নাগেশ্বরী থানার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করতো মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়। উক্ত মাদক কারবারির সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যহত রয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় মাদক নির্মূলে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যহত থাকবে।
এখানে উল্লেখ্য যে, এ-তো মাদকের চালান সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ঢোকে কিভাবে। এর দায়দায়িত্ব কে নিবে-?
যুব সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী এ-র দায়ভার এড়াতে পারেন কি-?
পুলিশকে যদি সবকাজ করতে হয়, তাহলে এতো বাহিনীর প্রয়োজন কি?
মাদককারবারীদেরকে পরিচালনা করেন যারা, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় দায়িত্বশীল বাহিনী প্রশংসনীয় অনেক ভালো কাজ করলেও তা টেকসই উন্নয়নে ফলপ্রসু হবে না মর্মে অভিমত ব্যাক্ত করেছেন সচেতন জ্ঞানীজন।