ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বালু পাচারের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় বালুভর্তি একটি ট্রলার বালু নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। পরে ওই বালুবাহী ট্রলারকে লক্ষ্য করে নদীপথে ধাওয়া করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান ও তার টিম। পরে নদীপথে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ ধাওয়া করার পর উপজেলার মধুপুর ব্রীজ সংলগ্ন ওই বালুবাহী ট্রলারকে আটকের পর জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার(১২ জুলাই) সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের লাঠিয়ামারি এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, লাঠিয়ামারি ঘাটে অভিযান চালানোর সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বালুভর্তি একটি ট্রলার পালনোর চেষ্টা করে। এসময় ছোট অপর একটি ট্রলার নিয়ে বালুভর্তি ট্রলারটি লক্ষ্য করে পিছনে ধাওয়া করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)মাহবুবুর রহমানের টিম। নদীপথে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীপথ ধাওয়া করার পর উপজেলার মধুপুর ব্রীজের নিচে গিয়ে ওই বালুবাহী ট্রলারকে আটক করা হয়। পরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায়ে মো. তানজিল ইসলাম (৪৫) নামে এক বালু ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় জব্দকৃত বালু প্রকাশ্য নিলামে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র। উল্লেখ্য যে, এর আগেও এসিল্যান্ড বিভিন্ন সময় অবৈধ বালু উত্তলন কারীদের অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে তাদের সহযোগিতা করেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই সাদী মোহাম্মদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান বলেন, উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের লাঠিয়ামারি এলাকায় অভিযান চালিয়ে নদী পথে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীপথ ধাওয়া করে বালুভর্তি একটি ট্রলারকে আটক কর হয়। এসময় অবৈধভাবে বালু উত্তলনের দায়ে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আটককৃত বালু প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।