‘ন্যায়ের পথে হস্তক্ষেপ হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি’
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষের ওপর সংঘটিত নিপীড়ন, নির্যাতন ও অন্যায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে নগরীতে ফ্যাসিস্ট বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
সকাল ১১টায় নগরীর জুলাই চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ময়মনসিংহের জনমানুষ এখন ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, শহীদ জুলাই যোদ্ধা সাগর হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত, ময়মনসিংহের তথাকথিত ‘গডফাদার’ ও ‘পরিবহন মাফিয়া’ আমিনুল হক শামীমের নাম মামলার তালিকা থেকে কৌশলে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
ফ্যাসিস্ট বিরোধী এই বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মো. সালাউদ্দিন তিতু।
সালাউদ্দিন তিতু স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যদি ন্যায়ের পথে হস্তক্ষেপ করা হয়, তবে ময়মনসিংহের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের সূচনা হবে।”
খুনি-মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি
সমাবেশ থেকে প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানান তিঞ্জ। এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে গড়ে ওঠা সব খুনি, মাফিয়া ও দুর্নীতিবাজ চক্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় জনতার এই আন্দোলন রাজপথ থেকে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম টুটুল, ১২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজাদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিপু এবং দক্ষিণ জেলা তাঁতী দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান ফারুক। দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সংগ্রামী সহ-সভাপতি ও দীর্ঘদিনের কারানির্যাতিত নেতা বাবু চৌধুরী সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন।
মিছিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সাংবাদিক, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন, যা এই আন্দোলনের ব্যাপক জনসমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।
সমাবেশের শেষাংশে বক্তারা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা দেন— “ময়মনসিংহের মাটি অন্যায়ের কাছে নত হবে না; ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলন চলবে, জয় হবে জনতার।”