বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
যে তরুণেরা শহীদ জিয়ার আদর্শে দীক্ষিত, তাদের কণ্ঠ কখনো স্তব্ধ হয় না, আতিক ময়মনসিংহে ভূয়া ভিসা ও ভূয়া বিমানের টিকেট করে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব এ.টি.এম আজহারের বেকসুর খালাসে ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের শুকরানা নামাজ ও দোয়া মাহফিল ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন-সিজন ২২ উপলক্ষ্যে আবদুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ এর সারাদিন ব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন ত্রিশালে স্টিয়ারিং কমিটির কার্যক্রম স্থায়ীত্বশীল করার উপর গুরুত্বারোপ অপ্রতিরোধ্য মাদক কারবারি ও ভূমিদস্যুকে আটক করেছে কচাকাটা থানার পুলিশ কটিয়াদীর মসূয়াতে অস্কার বিজয়ী সত্যজিৎ রায়ের বাড়িতে ঐতিহ্যবাহী মেলা ময়মনসিংহে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস পালিত কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ

সংসদ সদস্যের মানবিক উদ্যোগ: বাবার কষ্ট দেখে অসহায়দের কষ্ট দূর করতে হুইল চেয়ার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪
  • ৬২৬ বার পড়া হয়েছে

ময়মনসিংহ জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো সাবেক ধর্মমন্ত্রী প্রয়াত অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের। তাঁর ছেলে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান। বাবার শেষ বয়সে চলাচলের কষ্ট ও হুইল চেয়ারে তা লাঘব হওয়ার দৃশ্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু করেছেন ‘হুইল চেয়ার’ নামে একটি মানবিক সংস্থা। সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের সম্মানির কিছু অংশ থেকে বৃদ্ধ ও চলাচলে অক্ষম মানুষের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করছেন। ইতোমধ্যে সংসদ সদস্যের হুইল চেয়ার পেয়েছেন সদরের অন্তত ৩০০ মানুষ।

 

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মোহিত উর রহমান। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজের সম্মানীর একটি অংশ থেকে হুইল চেয়ার কিনবো এবং পিতার মতো বৃদ্ধ মানুষের মাঝে বিতরণ করবো। সেই কাজ করে চলেছি এবং এ কাজে অনেকে সহযোগিতাও করছেন।

মোহিত উর রহমান বলেন, আমার বাবা যখন আস্তে আস্তে বৃদ্ধ হলেন, তাঁর স্পাইনে অস্ত্রোপচার করতে হয়। এরপর লাঠিতে ভর করে হাঁটতে কষ্ট হতো। তারপর হঠাৎ করে কেউ একজন একটি হুইল চেয়ার উপহার দিয়েছিলেন। সেই হুইল চেয়ারে তিনি (বাবা) জীবনের বাকিটা সময় কাটিয়েছেন। বাবার সেই লাঠি থেকে হুইল চেয়ারে পদার্পণ করে কিছুটা স্বস্তিতে চলাচলের দৃশ্যটা বুকে পুষে রেখেছিলাম। তাঁর সন্তান সদরের সংসদ সদস্য হবার পর বাবার মতো বৃদ্ধ মানুষের চলাচলের কষ্টের কথা চিন্তা করে সদরের প্রত্যন্ত এলাকার বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শারীরিক অসুস্থ ও প্রতিবন্ধীদের কাছে হুইল চেয়ার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কেউ বাসায় এসে নিয়ে যাচ্ছে, কারও খবর পেলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ গুলো কাছে হুইল চেয়ার হয়ে উঠে মানবিক নাম, ভরসার জায়গা।

নগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের চরকালীবাড়ি লালকুঠি দরবারশরীফ এলাকার বাসিন্দা তাসলিমা বেগম (৩৮)। অন্তত ৬ মাস আগে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন। শরীরের একপাশ অবশ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকেন। দারিদ্রতার কারণে তার জন্য একটি হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ্য ছিলো না। নারীর অবস্থার কথা জেনে সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান নারীর বাড়িতে সম্প্রতি হুইল চেয়ার পৌঁছে দেন। তাসলিমা বেগম বলেন, আমাকে বিছানায় পড়ে থাকতে হতো। কিন্তু হুইল চেয়ার পাওয়ার পর এখন ঘরের বাইরেও বাইরে বের হতে পারি। অসুস্থ শরীরে বিছানায় শুয়ে থাকা ভালো লাগে না। হুইল চেয়ার আমার কষ্ট অনেক কমিয়েছে।
শুধু তাসলিমা নন বৃদ্ধ বয়সে হুইল চেয়ার পেয়ে খুশি ৬৮ বছরের চম্পা বেগমও। নগরের দুই নম্বর স্টেশন গেইট এলাকায় বসবাস করেন তিনি। আটানী পুকুর পাড়ের নাছিমা খাতুন, উত্তর দাপুনিয়ার হারুন মিয়া, চরকালিবাড়ি এলাকার আকবর আলীও হুইল চেয়ার পেয়ে কষ্ট অনেকটা কমেছে।

সংসদ সদস্য মোহিত উর রহমান বলেন, যে অঞ্চলের মানুষ বাবাকে অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বানিয়েছে, বাবার মুখের দিকে তাঁকিয়ে আমাকে সংসদ সদস্য বানিয়েছে তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর কলেবর বড় করবো। সাধ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলব। শুধু হুইল চেয়ার নয় সদরের মানুষের যে কোনো চিকিৎসা ও মঙ্গলের জন্য আমার এ সংস্থা আমৃত্যু কাজ করে যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও পড়ুন