দারুণ লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও ব্রাজিলকে শেষ পর্যন্ত আটকাতে পারলো না গিনি। আফ্রিকার দলটির বিপক্ষে প্রত্যাশিত বড় জয় পেয়েছে পাঁচ বারের শিরোপাজয়ীরা। ব্রাজিলের জয় ৪-১ গোলে। বিশ্বকাপের পর দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে সেলেসাওরা।
ম্যাচটি কোনো টুর্নামেন্টের অংশ না হলেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল ব্রাজিলের জন্যে। বর্ণবাদ বিরোধী অভিযানে ভিনিসিউসের সমর্থনে এই ম্যাচটা খেলেছিল ব্রাজিল। বার্সেলোনার আরসিডিই স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে প্রীতি ম্যাচে সেলেসাওরা মুখোমুখি হয় গিনির।
প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েও ঘাবড়ে যায়নি গিনি। শুরুতে বেশ টেক্কাই দিচ্ছিল তারা। লড়ছিল সমানে-সমানে। তবে ব্রাজিল যে চেষ্টা করছিল না, তা নয়। সপ্তম মিনিটে পাকেতার শট ফেরান গিনি গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর রদ্রিগোর শট নেয়া বল গোলপোস্টের জাল কাঁপায়।
ব্যবধান ২-০ করতে মোটে ২ মিনিট সময় নেয় ব্রাজিল। গিনির রক্ষণভাগের ভুলে বল পেয়ে যায় রদ্রিগো। বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে জাল খুঁজে নেন এই রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।
তবে ব্যাবধান কমিয়ে আনতে সময় নেয়নি গিনিও। ৩৬তম মিনিটেই তারা পেয়ে যায় ম্যাচে তাদের একমাত্র গোলের দেখা। দারুণ হেডে ব্রাজিলিয়ান রক্ষণ ভাঙেন গিনি ফরোয়ার্ড গিরাসি। ২-১ ব্যবধানেই বিরতিতে যায় উভয় দল।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য একক আধিপত্য বিস্তার করে ব্রাজিল। গিনি কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি পাঁচ বারের বিশ্বকাপজয়ী দলটার বিপক্ষে। ৪৭তম মিনিটেই ব্যাবধান ৩-১ করে ব্রাজিল। পাকেতার ফ্রি কিক থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মিলিতাও।
এরপর গোলের হালি পূরণ করার আরো একাধিক সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলেনি। অবশেষে ৮৮তম মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করেন ভিনিসিউস। গিনির বক্সে মালকম ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি দেন রেফারি। যেখান থেকে ব্রাজিল পেয়ে যায় চতুর্থ গোলের দেখা।